কলকাতা পৌরসভার কসবার কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষকে খুনের চেষ্টায় সংবাদের শিরোনামে ইএম বাইপাস- এর পূর্ব পাড়ের গুলশান কলোনি। এই গুলশান কলোনি নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পন্ডা বলেছেন, গুলশান কলোনিতে অবৈধভাবে জলা জমি বুজিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় তা বিক্রি করা হয়েছে দুষ্কৃতিদের। আর সেই সুযোগে সেখানে গড়ে উঠেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ডেরা। রোহিঙ্গারাও সেখানে থাকতে শুরু করেছে। এই অভিযোগ নিয়ে বিজেপি আদালতের দ্বারস্থ হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
শঙ্কু দেব পন্ডা বলেছেন, গুলশান কলোনিতে পায়রার খোপের মত ছোট ছোট যে ঘর তৈরি হচ্ছে। কার ঘর কেউ জানে না। মালিকের কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। যার দখলে রয়েছে সে ভাড়া দিচ্ছে। জমি লুট করে কোটি কোটি টাকা রোজগার হচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে দুষ্কৃতীরা এসে এখানে থাকছে। ওখানে বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদীদের একটা হাব তৈরি হয়েছে।এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে এটা ভয়ংকর দিকে চলে যাবে। একের পর এক ঝিল বুজিয়ে দিচ্ছে। ববি হাকিম যদি না জানেন তাহলে ওনার মেয়র পদ ছেড়ে দেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে সমস্ত নথি রয়েছে, আমরা আদালতে যাব। সরকার খাস জমি বিক্রি করে দিয়েছে। সেখানে রোহিঙ্গারা থাকছে।
শঙ্কুদেবের দাবি যে অমূলক নয় তা গুগল ম্যাপও বলছে। ২০১১ সালের গুগল ম্যাপে বর্তমানে যেখানে গুলশান কলোনি, সেখানে একটি বিশাল ভেড়ি দেখা যাচ্ছে। গুগল ম্যাপের ছবি বলছে তৃণমূল জমানায় ধীরে ধীরে ভরাট করা হয়েছে বিশাল ওই ভেরি। আর তার ওপরে একে একে গজিয়ে উঠেছে ছোট ছোট বাড়ি।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে শুরুর দিকে এই গুলশান কলোনি থেকেই ২২ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করেছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ধৃতরা বেআইনি কাজ চালাতো। অভিযান চালিয়ে একটি নির্মীয়মান বাড়ি থেকে ১৬টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণে বোমা তৈরীর মশলাও।