ব্রিটিশ আমলে ২৩০ মিটার লম্বা মৌরবি সেতুটি তৈরি হয়েছিল। প্রায় ১৫০ বছর পুরোনো ব্রিজটি সংস্কারের জন্য বন্ধ ছিল গত ৬ মাস। ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষ উপলক্ষে ব্রিজটি ফের জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। আর এরই মধ্যে এই সেতু ভেঙে পড়ায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। এই আবহে এবার প্রকাশ্যে এল এক চাঞ্চল্যকর দাবি। মৌরবি পুরসভার এক কর্তা এই বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমসকে জানিয়েছেন, ব্রিজ খোলার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়াই হয়নি কর্তৃপক্ষের তরফে।
জানা গিয়েছে, অজন্তা ঘড়ির প্রস্তুতকারক ওরেভা গ্রুপকে এই ব্রিজের দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছিল মৌরবি পুরসভা। মৌরবির প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সন্দীপ সিং ঝালা সাংবাদিকদের বলেন, ‘১৫ বছরের জন্য পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওরেভা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছিল সেতুটি। চলতি বছরের মার্চ মাসে এটি সংস্কারের জন্য জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফের ২৬ অক্টোবর গুজরাটি নববর্ষে এটি খুলে দেওয়া হয়। সেতুটি খোলার জন্য কোম্পানিকে ফিটনেস সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছিল কি না তা আমাদের জানা নেই।’ পুর আধিকারিক আরও বলেন, সংস্কার কাজে কোম্পানিটি কী ধরনের সামগ্রী ব্যবহার করেছে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে কোনও তথ্য নেই।
এদিকে গুজরাটের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব (স্বরাষ্ট্র) রাজ কুমার বলেছেন, নিরাপত্তার ত্রুটির বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সরকার। দুর্ঘটনার সমস্ত দিক তদন্ত করা হবে। এদিকে গুজরাটের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ব্রিজেশ মের্জা এই দুর্ঘটনা সম্পর্কে এক সর্বভারতীয় সংবাদসংস্থাকে বলেন, ‘গত সপ্তাহে সংস্কার করা হয়েছিল সেতুটির। আমরা এই দুর্ঘটনায় হতবাক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি… সরকার এই দুর্ঘটনায় দায় স্বীকার করছে।’ অপরদিকে গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সংভি জানান, দুর্ঘটনার কারণ জানতে পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হচ্ছে।