স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমার প্রিমিয়াম থেকে উঠতে চলেছে জিএসটি। শনিবার মন্ত্রিগোষ্ঠীর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই সিদ্ধান্ত কার্যকর হল মধ্যবিত্তরা অনেকটাই উপকৃত হবেন। কমে যাবে প্রিমিয়ামের অংক। লোকসভা ভোটের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিতে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সেই চিঠি দেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই সম্ভবত তা কার্যকর করার পথে কেন্দ্রীয় সরকার।
দেশের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই জিএসটি প্রত্যাহারের জন্য চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রকে। শনিবার মন্ত্রিগোষ্ঠীর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর এমনই একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এনিয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে নভেম্বরে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে।
শনিবারের ওই বৈঠকে বাংলা থেকে উপস্থিত ছিলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আজকের বৈঠকে অধিকাংশ মন্ত্রী একমত হয়েছেন যে জীবনবিমা থেকে ও স্বাস্থ্য বিমা থেকে জিএসটি উঠে যাওয়া উচিত। মতামত দেওয়া হয়েছে বয়স্ক নাগরিকদের স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি না থাকাই বাঞ্ছনীয়। সাধারণ মানুষজদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিমায় জিএসটি থাকা উচিত নয়। আর টার্ম জীবন বিমার ক্ষেত্রে জিএসটি থাকা উচিত নয়। মন্ত্রিগোষ্ঠী ওই সিদ্ধান্ত পাঠাবে জিএসটি কাউন্সিলের কাছে। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে এনিয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি এই জিএসটি তুলে দেওয়া নিয়ে সরব হয়েছিলেন নীতীন গডকড়িও। তিনিও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন প্রধানমন্ত্রীকে। এখন দেখা যাচ্ছে সরকার পিছপা হতে পারে। অর্থাত্ স্বাস্থ্য বিমা ও জীবন বিমা থেকে যদি জিএসটি উঠে যায় তাহলে ওই দুই বিমায় প্রিমিয়াম অনেকটাই কমে যাবে।