জোড়া খুনের (Greater Noida Murder) ঘটনায় বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৮ মে উত্তাল হয়ে উঠল গ্রেটার নয়ডা (Greater Noida)। দাদরি থানা এলাকার শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে (Shiv Nadar University) এই নারকীয় ঘটনা ঘটেছে। পুলিসের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের একই ক্লাসের দুই ছাত্র-ছাত্রী প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন। তবে তাদের সম্পর্কে জটিলতা তৈরি হওয়ার পর, প্রেমিক একটি বন্দুক জোগাড় করে প্রেমিকাকে গুলি করে দেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় মারা যান সেই ছাত্রী। এরপর নিজের মাথাতেও গুলি করেন সেই ছাত্র।
এই ঘটনা জানাজানি হতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছুটে আসে দাদরি থানা এলাকার বিশাল পুলিসবাহিনী। দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইতমধ্যেই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিসের সঙ্গে ঘটনাস্থল পরীক্ষা করে দেখছেন হোমিসাইড বাহিনী। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
পুলিসের দাবি, দু’জনেই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। মৃত ছাত্রীর বাড়ি কানপুরে। অন্যদিকে ছাত্রের পরিবার আমরোহাতে থাকেন। দু’জনের পরিবারকে ইতমধ্যেই খবর দিয়েছে দাদরি থানার পুলিস।
জোড়া খুনে তদন্ত করতে গিয়ে নয়ডা পুলিসের অতিরিক্ত পুলিস সুপার সাদ মিয়াঁ খান বলেছেন, “শিব নাদার বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়া করছিল দুই মৃত। এরমধ্যে মৃত লোকেশ সিং সমাজবিদ্যা নিয়ে পড়াশুনো করত। এদিন বেলা গড়ালে অনুজ লোকেশ সিং তার প্রেমিকার ঘরে যায়। সেখানে যাওয়ার পর দু’জন ডাইনিং রুমে কিছুক্ষণ কথা বলে। এরপর মেয়েটিকে বুকে জড়ানোর পর অনুজ লোকেশ সিং তার প্রেমিকাকে লক্ষ্য করে গুলি করে দেয়। প্রেমিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে অনুজ লোকেশ সিং নিজের ঘরে ফিরে মাথায় গুলি করে। এবং ঘটনাস্থলেই মারা যায়।”
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল? পুলিসের আরও দাবি, দু’জনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক থাকলেও গত কয়েক মাস ওদের মতবিরোধ চরমে ওঠে। তাই পুলিসের ধারণা প্রেমের সম্পর্কে ভাঙন ধরার জন্যই বেঘোরে দু’জনের প্রাণ গেল।