‘দাদা, বাঁচাও’! নিখোঁজের ১৫৯ দিন পর হঠাৎ বোনের ফোন, চোপড়ায় অপহরণ, ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ

দশম শ্রেণির ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া। ঘটনায় ইতিমধ্যেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া থানা এলাকায়। গত ২৭ মে স্কুলে যাওয়ার নাম করে সকাল ৯ টায় বাড়ি থেকে বার হয় সে। কিন্তু সন্ধ্যার পরেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পড়ে যায় পরিবার। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও মেয়েটিকে পাওয়া যায়নি। ছাত্রীর কাছে মোবাইল ফোন ছিল। কিন্তু ফোন করলে জানা যায়, সেটি বন্ধ রয়েছে। এমতাবস্থায় পরের দিন দাসপাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ করে পরিবারয়। নানা জায়গায় খোঁজখবর করেও ছাত্রীটিকে পাওয়া যাচ্ছিল না।

নিখোঁজের ১৫৯ দিন পর রবিবার বিকেলে হঠাৎ নিখোঁজ ছাত্রী ফোন করে তার দাদাকে। একটি জায়গার নাম করে সে জানায়, ওখানে বন্দি রয়েছে। এ বার তাকে মেরে ফেলা হবে। আর কিছু বলার আগেই ফোনটি কেটে যায়।

তার মধ্যেই পুলিশ মারফত ছাত্রীর পরিবার জানতে পারে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটি। সোমবার চিকিৎসারত অবস্থায় ছাত্রীর মৃত্যু হয়। শোরগোল ছড়ায় এলাকায়। মৃতার দাদা বলেন, ‘‘গতকাল (রবিবার) বিকেলে আমার বোন কারও মোবাইল থেকে আমাকে ফোন করে বলে, ‘আমাকে এখান থেকে নিয়ে যাও। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’ আমি কিছু বলার আগেই ফোনটা কেটে যায়। আমি তখন বাইরে ছিলাম। তড়িঘড়ি বাড়ি ফিরছিলাম। তখনই পুলিশে যোগাযোগ করে জানতে পারি, এক জন বোনকে হাসপাতালে দিয়ে পালিয়ে যায়।’’

তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে মেয়েটি মারা যায়। পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অপহরণ, ধর্ষণ এবং খুনের মামলা রুজু হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দুপুরে ধৃতকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়েছিল। আপাতত তিনি পুলিশের হেফাজতে। ঘটনার তদন্তে চোপড়া থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.