শূন্যপদের সংখ্যা ১৯,০০০। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সেই শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য। সূত্রের খবর, কোন স্কুলে কোন ক্যাটেগরিতে কত শূন্যপদ আছে, তা অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরকে বিস্তারিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। দুর্গাপুজোর আগেই সেই তালিকা পাওয়া যেতে পারে বলে দাবি একটি মহলের।
সূত্রের খবর, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরের সঙ্গে আলোচনায় বসেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) আধিকারিকরা। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে যখন রাজ্য সরকার বিদ্ধ, তখন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোন স্কুলে কোন ক্যাটেগরিতে কত শূন্যপদ আছে, তার বিস্তারিত তালিকা চেয়েছেন কমিশনের কর্তারা। পুজোর আগেই অনগ্রসর শ্রেণি উন্নয়ন দফতরের সেই তালিকা জমা পড়তে পারে বলে সূত্রের খবর।
নিয়োগ দুর্নীতিতে বিদ্ধ রাজ্য সরকার
এমনিতে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি বিতর্কে জর্জরিত হয়ে আছে রাজ্য সরকার। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ম্যারাথন জেরার পর মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। গ্রেফতার করা হয়েছে উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শ্যামাপ্রসাদ সিনহা এবং সদস্য অশোক সাহাকেও। প্রাথমিক টেট নিয়েও সরকারের গায়ে দুর্নীতির আঁচড় লেগেছে।
দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস রাজ্যের
রাজ্য সরকারের উপর যে প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে, তা থেকে কিছুটা রেহাই পেতে দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। গত জুলাইয়ে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন, ‘রাজ্যের স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থাকে আমরা ঢেলে সাজাতে চাইছি। আমরা দ্রুত শিক্ষক নিয়োগ করে স্কুলগুলিতে তৈরি হওয়া শূন্যপদ পূরণ করতে চাইছি। কিন্তু এই মুহূর্তে সার্ভার রুম বন্ধ (সার্ভার রুম ফেরত পেয়েছে কমিশন) থাকায় কাজের সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি, মহামান্য আদালত সুবিচার করবেন।’ সঙ্গে তিনি দাবি করেছিলেন, ‘আদালতের নির্দেশ পেলেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।’
নিয়োগ নিয়ে শিক্ষা দফতরকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতাও। চলতি মাসের শুরুতেই পর্যালোচনা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, কোনও নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রতিটি দফতরের নির্দিষ্ট কমিটির থেকে অনুমতি নিতে হবে। ‘নিয়োগ কমিটির অনুমতি ছাড়া স্থায়ী বা অস্থায়ী কোনও ধরনের নিয়োগই যেন না হয়’, তা নিয়ে সতর্কও করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।