দুর্গাপুজো উপলক্ষে এপার বাংলার পাশাপাশি মেতে উঠেছে ওপার বাংলাও। আর এপার বাংলার মতো ওপার বাংলাতেও পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফে। এই পরিস্থিতিত করোনা রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে গতবছরের তুলনায় এবছর সেদেশে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ বেড়েছে ১ হাজার ৯০৫টি। এর ফলে বাংলাদেশ জুড়ে মোট দুর্গাপুজোর মণ্ডপের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩২ হাজার ১১৮টি।
জানা গিয়েছে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই পুজো হচ্ছে ২৩৮টি। পাশাপাশি গতবছর যেখানে শেখ হাসিনার সরকার পুজো উপলক্ষে ২ কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিল, এই বছর সেই অনুদানের পরিমাণ বাড়িয়ে ত কোটি টাকা করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশেও করোনা ভ্রূকুটি এখনও দূর হয়নি। করোনার কারণে পুজো এবং প্রতিমা বিসর্জন নিয়ে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে সেদেশেও। মণ্ডপে ঢোকার অনুমতি মিললেও দর্শনার্থীদের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি পুরোহিতকেও মাস্ক পরেই থাকতে হবে। তাছাড়া মণ্ডপে ঢোকার মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত ধোয়া এবং থার্মাল স্ক্যানারের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আয়োজকদের।
এদিকে দুর্গাপুজো মণ্ডপে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য পৃথক যাতায়তের ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ভিড় ঠেকাতে মেলা, আলোকসজ্জা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উফর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি প্রতিমা বিসর্জনের সময় শোভাযাত্রা করা যাবে না। তাছাড়া দশমী শুক্রবার হওয়ায় জুম্মার নমাজের কারণে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে না।