লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের অনুষ্ঠান হল ব্রিগেডে। বিভিন্ন জায়গা থেকে হাজার হাজার লোকজন এবং সাধুসন্তরাও এসেছিলেন। সেখানে পাঁচটি ভাগে ভাগ করে ২০ হাজার করে লোকের বসার বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। গীতার পাঁচটি অধ্যায় পাঠ হয় এই অনুষ্ঠানে। প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠানে আসার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তাঁর সফর বাতিল হয়। ফলে এই অনুষ্ঠানকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ অনুষ্ঠানের আয়োজকরা। প্রথমটায় প্রধানমন্ত্রী আসবেন বলেও জানা গিয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁর সফর বাতিল হয়। তা জানতে পেরে হতাশাও তৈরি হয়। কিন্তু কর্মসূচি শুরুর আগে আয়োজকদের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, অখিল ভারতীয় সংস্কৃতি পরিষদ, সনাতনী সংস্কৃত পরিষদ, মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন, কলকাতায় লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচির আয়োজন করেছে, তা প্রশংসনীয়। এটাই আমাদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য বলে মত প্রকাশ করেছেন তিনি। সংস্কৃতির বৈচিত্র আমাদের শক্তি, বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেছেন, মহাভারতের সময় থেকে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলন, এমনকি বর্তমান সময়ে গীতা আমাদের অনুপ্রাণিত করে। গীতাকে জ্ঞানের ভান্ডার জীবনের চালিকা শক্তি বলে বর্ণনা করেছেন মোদী।
তিনি বলেছেন, গীতা ভারতের সংস্কৃতি অনুযায়ী জীবনযাপন এবং অগ্রগতির পথ দেখায়। মোদী বলেছেন, একসঙ্গে এত মানুষের কন্ঠে গীতা পাঠ আমাদের সামাজিক সম্প্রীতিকে জোরদার করবে। দেশের উন্নয়ন যাত্রার জন্য যা আবশ্যক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ সকলের জন্য শান্তি আনুক বলেই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আয়োজকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মোদী।
এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার থেকেই ব্রিগেড ময়দানে আসতে শুরু করেন অনেকে। রবিবার ভোর থেকে বিভিন্ন লোকজন এসে পৌঁছান মাঠে। বাংলার বিজেপি নেতৃত্বের অনেকেই ব্রিগেডে পৌঁছেছেন। লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠের আয়োজকের ভূমিকায় না থাকলেও মাঠ এবং স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকায় রয়েছেন পদ্মশিবিরের কর্মীরা। শনিবার রাতেই ব্রিগেডে গিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতাও।