গাজিয়াবাদ গণধর্ষণের অভিযোগ ভুয়ো, সম্পত্তি-বিবাদ থেকেই চক্রান্তে ‘নির্যাতিতা’! বলছে পুলিশ

গাজিয়াবাদ গণধর্ষণ-কাণ্ডের ‘নির্যাতিতা’র অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। চিত্রনাট্য মেনে পাঁচ জন ‘অভিযুক্ত’কে ফাঁসাতেই ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন মহিলা। বৃহস্পতিবার রাতে টুইট করে এবং সাংবাদিক বৈঠক করে এমনটাই জানাল মেরঠ পুলিশ। তবে পুলিশের তদন্ত বলছে, শুধু মহিলা নন, তাঁর সঙ্গে এই কাজে লিপ্ত ছিলেন আরও তিন জন। এঁদের মধ্যে যিনি এই ধর্ষণের চিত্রনাট্য নির্মাণের প্রধান কুশীলব, সেই আজাদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে আজাদের দুই সহকারী গৌরব এবং আফজলকেও। অভিযোগকারিণী মহিলাকেও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মূলত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ থেকেই পাঁচ জনকে ফাঁসানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। পুলিশি জেরার মুখে আজাদ চক্রান্তের বিষয়টি কবুল করেন।

গত ১৮ অক্টোবর, দিল্লির বাসিন্দা ওই মহিলাকে গাজিয়াবাদের আশ্রম রোডের ধার থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। গুরুতর ‘অসুস্থ’ অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়াল টুইট করে জানান, একটি বস্তা থেকে ওই মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি এ-ও দাবি করেন যে, মহিলার গোপনাঙ্গে একটি লোহার রড ঢোকানোর চেষ্টা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে নেমে পুলিশ গণধর্ষণে অভিযুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু পরে স্থানীয় হাসপাতালে ওই মহিলার শারীরিক পরীক্ষা করাতে নিয়ে যাওয়া হলে তিনি জানান, তিনি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। তাই এমন কোনও পরীক্ষার জন্য তিনি প্রস্তুত নন। কিন্তু পুলিশের কিছু বিষয়ে সন্দেহ হওয়ায়, এক প্রকার জোর করেই ওই মহিলার স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে জানান চিকিৎসকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.