লাইনে দাঁড়িয়ে বোর্ডিং কার্ড নেওয়ার ঝক্কি পোহানোর দিন শেষ। এ বার মুখের ছবি তুলিয়েই সোজা বিমানে উঠতে পারবেন যাত্রীরা! বৃহস্পতিবার থেকেই দেশের ৩টি বিমানবন্দরে চালু হল এই নতুন ‘ডিজি যাত্রা’ ব্যবস্থা। আধুনিক ‘ডিজিটাল রেকগনিশন টেকনোলজি’র সাহায্যে বিমানযাত্রীদের সরাসরি বিমানে ওঠার সুযোগ দেওয়া হবে।
কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রক জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রথম ধাপে দিল্লি, বেঙ্গালুরুর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লোকসভা কেন্দ্র বারাণসীর বিমানবন্দরে চালু হল ‘ডিজি যাত্রা’। পরবর্তী পর্যায়ে কলকাতা, হায়দরাবাদ, পুণে এবং বিজয়ওয়াড়া বিমানবন্দরে বসবে ‘ফেসিয়াল রেকগনিশন’ যন্ত্র।
বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, কেন্দ্রের ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের অধীনে এই ব্যবস্থায় টার্মিনালে ঢোকার পরে যাত্রীর মুখের ছবি তোলা হবে। এ জন্য আনা হচ্ছে ‘ফেস রিডিং’ মেশিন। ইচ্ছুক যাত্রীদের প্রথমে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। সেই সময়েই আধার কার্ড ও অন্য পরিচয়পত্র দেখানোর পাশাপাশি মুখের ছবি তুলিয়ে নিতে হবে। এর জন্য টার্মিনালে ঢোকার মুখে ও ভিতরে বসানো হবে রেজিস্ট্রেশন কিয়স্ক।
নাম রেজিস্ট্রেশন করালে যাত্রীর মোবাইলেই চলে আসবে লিঙ্ক। যাত্রীর ছবি মিলিয়ে দেখার জন্য টার্মিনালে ঢোকার মুখে দু’টি, সিকিউরিটি চেকের মুখে দু’টি এবং বোর্ডিংয়ের সময়ে দু’টি গেটে থাকবে ফেস-রিডিং যন্ত্র। যে যাত্রী ছবি তুলিয়ে বিমান উঠতে ইচ্ছুক, তাঁকে মোট তিন বার ওই গেট পেরোতে হবে। তার পরে মোবাইলেই চলে আসবে ‘বোর্ডিং কার্ড’।
বর্তমানে টার্মিনালে ঢোকার মুখে সিআইএসএফ কর্মীরা টিকিট ও পরিচয়পত্র খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে তবেই যাত্রীকে বিমানবন্দরে ঢুকতে দেন। সেখানেও লাইনে দাঁড়াতে হবে না ‘ডিজি যাত্রা’-র যাত্রীদের। ফেস রিডিং যন্ত্র বসানো গেটের সামনে দাঁড়ালে যাত্রীর মুখের ছবি মিলিয়ে দেখে খুলে যাবে দরজা। এ ভাবেই সিকিউরিটি চেকের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন এড়িয়ে যাওয়া যাবে।
তবে নতুন ব্যবস্থার পাশাপাশি থাকছে পুরনো পদ্ধতিতে বোর্ডিং পাস দেওয়ার ব্যবস্থাও। কোনও কোনও যাত্রীর এ ভাবে নিজের ছবি তোলাতে আপত্তি থাকতে পারে, সে কথা মাথায় রেখে এখনই বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না।