স্কটল্যান্ডকে পাঁচ গোল, দেশের মাটিতে শুরুতেই ইউরো কাপ জমিয়ে দিল জার্মানি

দেশের মাটিতে স্কটল্যান্ডকে অনায়াসে হারিয়ে ইউরো কাপ অভিযান শুরু করল জার্মানি। শুক্রবার মিউনিখে ৫-১ গোলে জিতল তারা। এর মধ্যে তিনটি গোল হয়েছে প্রথমার্ধে। তিন তরুণ ফুটবলার গোল করেন জার্মানির হয়ে। প্রতিপক্ষ হিসাবে স্কটল্যান্ড খুব খারাপ না হলেও জার্মানির সামনে দাঁড়াতে পারল না তারা। জার্মানির হয়ে গোল ফ্লোরিয়ান উইর্ৎজ, জামাল মুসিয়ালা, কাই হাভার্ৎজ, নিকলাস ফুলক্রুগ এবং এমরে চ্যানের। ম্যাচের শেষের দিকে আত্মঘাতী গোল আন্তোনিয়ো রুডিগারের।

খেলার প্রথম মিনিট থেকেই আয়োজক দেশ চেপে ধরে স্কটল্যান্ডকে। মাঝমাঠ থেকে আক্রমণ, প্রতিটি বিভাগেই জার্মানির নিখুঁত ফুটবল দেখা যেতে থাকে। দশ মিনিটে প্রথম গোল হয়। মাঝমাঠ থেকে ডান দিকে জোশুয়া কিমিখের উদ্দেশে নিখুঁত পাস দিয়েছিলেন টনি ক্রুজ়‌। কিমিখ মাঝে পাস দেন। দৌড়ে এসে চলতি বলেই শট নেন ফ্লোরিয়ান উইর্ৎজ। স্কটল্যান্ডের গোলকিপার অ্যাঙ্গাস গানের হাতে লেগে তা গোলে ঢুকে যায়।

দ্বিতীয় গোল আসে ১৯ মিনিটে। এ বার মাঝমাঠ থেকে কাই হাভার্ৎজের উদ্দেশে পাস দিয়েছিলেন ইলকাই গুন্ডোয়ান। হাভার্ৎজ সামনে একা গোলকিপারকে পেলেও একটু দেরি করে ফেলায় ডিফেন্ডারেরা এসে যান। বুদ্ধি করে জামাল মুসিয়ালাকে পাস দেন তিনি। নিচু শটে গোল করেন মুসিয়ালা।

পাঁচ মিনিট পরেই রেফারি পেনাল্টি দিয়েছিলেন জার্মানিকে। মুসিয়ালাকে ফেলে দিয়েছিলেন রায়ান ক্রিস্টি এবং কিয়েরান টিয়ার্নি। কিন্তু ভিডিয়ো অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভার) সঙ্গে আলোচনার পর সেটি ফ্রিকিক দেন রেফারি। ফ্রিকিক থেকে হাভার্ৎজের শট অল্পের জন্য বাঁচিয়ে দেন স্কটিশ গোলকিপার।

তবে খেলায় কিছুতেই ফিরতে পারছিল না স্কটল্যান্ড। উল্টে যত সময় যাচ্ছিল ততই জার্মানির দাপট বাড়ছিল। সেই কারণেই বিরতির আগে তৃতীয় গোল করে ফেলে তারা। মুসিয়ালার ক্রস থেকে হেড করেছিলেন গুন্ডোয়ান। বিপক্ষ গোলকিপার সেভ করার পর ফিরতি বলে শট নেওয়ার আগেই জার্মান অধিনায়ককে ট্যাকল করেন রায়ান পোর্টিয়াস। রেফারি প্রথমে পেনাল্টি দেননি। কিন্তু ভার-এর সঙ্গে আলোচনার পর পেনাল্টি দেন। সেই সঙ্গে লাল কার্ড দেখান পোর্টিয়াসকে। পেনাল্টি থেকে গোল করেন হাভার্ৎজ।

দ্বিতীয়ার্ধেও ছবিটা পাল্টায়নি। জার্মানির দাপট যত বাড়ছিল, তত কোণঠাসা হয়ে পড়ছিল দশ জনের স্কটল্যান্ড। জার্মানদের প্রতিটি আক্রমণেই গোল হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছিল। কোনও রকমে আক্রমণ ঠেকাচ্ছিল স্কটল্যান্ড। সেই প্রতিরোধ ভাঙল ৬৮ মিনিটে। মুসিয়ালার পাস গুন্ডোয়ান ঠিক করে ধরতে পারেননি। বিপক্ষের পা থেকে বল কেড়ে নিয়ে গোল করেন সবে মাঠে নামা নিকোলাস ফুলক্রুগ।

কয়েক মিনিট পরে আবার বল জালে জড়িয়েছিলেন। তবে অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায়। শেষের দিকে একটি বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলে ঢুকিয়ে দেন জার্মানির রুডিগার। ম্যাচ শেষ হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে বক্সের বাইরে থেকে বাঁকানো শটে গোল করেন চ্যান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.