যৌনাঙ্গে বাইকের চাবি! একাদশ শ্রেণির ছাত্রীকে জঙ্গলে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন আলিপুরদুয়ারে

বিকেলে টিউশন নিতে যাচ্ছিল এক কিশোরী। রাস্তাঘাট ফাঁকাই ছিল তখন। সেই সময় তাকে জোর করে হাত ধরে টেনে রাস্তার পাশের জঙ্গলে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন কেউ। তার পর সেখানেই চলে যৌন নির্যাতন! বাইকের চাবি যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে অত্যাচার চলে কিশোরীর উপর! এমনই অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ারে।

নির্যাতিতার পরিবার ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশী বলেন, ‘‘আমাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে। আমরা মামলা রুজু করেছি। তদন্ত চলছে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, নির্যাতিতা এখন হাসপাতালে ভর্তি। অস্ত্রোপচারের পর সে আপাতত ভাল রয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।

নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, রবিবার বিকেলে টিউশন নিতে যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল একাদশ শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রী। পথে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পড়ে। জাতীয় সড়কে ওঠার ঠিক আগে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে জঙ্গলঘেরা একটি জায়গা রয়েছে। স্কুলছাত্রীকে ওই জঙ্গলেই টেনে নিয়ে গিয়ে তার উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। তাদের অভিযোগ, বাইকের চাবি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে নাবালিকার যৌনাঙ্গে। প্রবল যন্ত্রণায় সে চিৎকার করে ওঠে। সেই সময়েই পালিয়ে গিয়েছিলেন অভিযুক্ত। পরে স্থানীয়েরা নাবালিকাকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন।

পরিবারের লোকেরা জানান, নাবালিকার যৌনাঙ্গ থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হচ্ছিল দেখে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তার দিদিমা। প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় তাকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে রবিবার রাতেই নাবালিকার অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল। ওই হাসপাতালের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপার গৌরব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রবিবার রাতে নাবালিকা মেয়েটিকে ভর্তি করানো হয়। মেয়েটির শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় অপারেশন করতে হয়েছে। বর্তমানে মেয়েটি ভাল রয়েছে।’’

নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্থানীয়েরা। প্রশাসনের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, রাস্তার পাশে ওই জঙ্গলে প্রায়ই মদের আসর বসে। সেখানে দুষ্কৃতীদের আনাগোনা লেগেই রয়েছে। প্রশাসনকেও এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছিল। কোনও সুরাহা হয়নি। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কিত গ্রামবাসীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.