প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র সংগঠন হামাসের কাছ থেকে গা়জ়া ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করল ইজ়রায়েল। যদিও এই দাবির সত্যতা নিয়ে সংশয় রয়েছে। হামাস-ইজ়রায়েল যুদ্ধের পঞ্চম দিনেও অবরুদ্ধ রয়েছে গা়জ়া। অন্য দিকে হামাসের হামলা এবং ইজ়রায়েলের প্রত্যাঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩০০০-এরও বেশি বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। এর আগে ইজ়রায়েলের তরফে জানানো হয়েছিল, হামাসের হামলায় তাদের এক হাজারেরও বেশি নাগরিক মারা গিয়েছেন। গাজ়ার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়, ৮৩০ জন বাসিন্দা ইজ়রায়েলি হামলায় মারা গিয়েছেন। এই সংখ্যা আরও বাড়তে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্য দিকে, আমেরিকার পাঠানো অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ইজ়রায়েলের নেভাটিম বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এসে পৌঁছেছে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, প্রত্যাঘাতের মাত্রা আরও চড়াতে চলেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। সোমবার রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংগঠন ওসিএইচএ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, শনিবার থেকে গাজ়ায় ঘরছাড়া এক লক্ষ ৮৭ হাজার ৫০০ জন। তাঁরা এখন আশ্রয় নিয়েছেন রাষ্ট্রপুঞ্জের আশ্রয়শিবিরগুলিতে। তাঁদের মধ্যে তিন হাজার মানুষ ইজ়রায়েল-হামাসের সংঘর্ষের কারণে আগে থেকেই ঘরছাড়া।
হামাসের হামলার পর গাজ়াকে হাতের সঙ্গে ভাতে মারারও পণ করেছে ইজ়রায়েল। খাবার, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, জরুরি পরিষেবার জন্য তারা অনেকাংশেই ইজ়রায়েলের উপর নির্ভরশীল। সেই জরুরি পরিষেবাই বন্ধ করেছে ইজ়রায়েল। চলছে বিমানহানা। সেখানে আটকে রয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ‘হু’ প্রস্তাব দিয়েছে, গাজ়ায় আটকে পড়া নাগরিকদের বার করে আনার জন্য ‘হিউম্যানিটেরিয়ান করিডর’ তৈরি করা হোক। কারণ খাবার, জলের অভাবে গাজ়ার বাসিন্দারা ভুগছেন। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসার অভাবে মারা যাচ্ছেন হামলায় আহত বহু মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, আহত এই মানুষগুলির চিকিৎসা হওয়া দরকার। জেনেভায় হু-এর মুখপাত্র তারিক জাসারেভিক বলেন, ‘‘এই হিংসায় ইতি চাইছে হু। হিউম্যান করিডর তৈরি করে আহতদের চিকিৎসার জন্য জরুরি ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হোক।’’ তিনি এ-ও জানিয়েছেন, জ্বালানি বা বিদ্যুৎ ছাড়া হাসপাতাল চলতে পারে না। সেগুলির জোগানেরও ব্যবস্থা করা দরকার।