হারের দায় গম্ভীরদের উপর চাপালেন গাওস্কর! ‘ব্যাটিং অর্ডার নয়, বদলে ফেলা উচিত কোচদেরই’

১০ বছর পর বর্ডার-গাওস্কর সিরিজ় হাতছাড়া হয়েছে ভারতের। সিডনিতে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর শেষ হয়ে গিয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের স্বপ্নও। এই হারের দায় কার। ক্রিকেটারদের? সব দোষ ক্রিকেটারদের দিতে চান না সুনীল গাওস্কর। তিনি দায় চাপালেন গৌতম গম্ভীরের নেতৃত্বাধীন কোচিং দলের উপর। তাঁর মতে, দলের ব্যাটিং অর্ডার নয়, বদলে ফেলা উচিত দলের কোচদেরই।

ভারতীয় দলের কোচ বদলের পর ছ’মাসে টেস্টে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স খুব খারাপ। শুরুতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দু’টি টেস্ট জিতেছিল তারা। তার পর ঘরের মাঠে নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে প্রথম বার তিন টেস্টের সিরিজ়ে চুনকাম হয়েছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েও সিরিজ় হারতে হয়েছে। ১০ বছর পর আবার বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি হাতছাড়া হয়েছে ভারতের। গম্ভীরের অধীনে ১০টির মধ্যে ছ’টি টেস্ট হেরেছে ভারত। ড্র হয়েছে একটি। মাত্র তিনটি টেস্ট জিতেছে দল।

সেই কারণেই গাওস্করের নিশানায় গম্ভীরেরা। তিনি প্রশ্ন করেছেন, এই ক’মাসে কোচেরা কী করেছেন? তাঁদের পারফরম্যান্স কেন খতিয়ে দেখা হবে না? গাওস্কর বলেন, “কোচেরা কী করছে? নিউ জ়িল্যান্ডের কাছে আমরা ৪৬ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিলাম। তখনই বোঝা গিয়েছিল দলের ব্যাটারদের কী অবস্থা। তা হলে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ়ের আগে কোচেরা কী করল। কেন কোনও উন্নতি হল না? এই প্রশ্ন কোচদের কেন করা হবে না। কোচদের পারফরম্যান্সেরও বিচার করতে হবে।”

অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে অনের পরীক্ষা চলেছে। কখনও লোকেশ রাহুলকে ওপেন করানো হয়েছে, কখনও আবার তিন নম্বরে খেলানো হয়েছে। রোহিত শর্মারও জায়গা বদল হয়েছে। বার বার ব্যাটিং অর্ডার বদলে আখেরে কোনও লাভ হয়নি দলের। গাওস্কর বলেন, “ভাল বোলারদের কী ভাবে সামলাতে হবে সেই পরিকল্পনা করেনি কোচেরা। ওরা ব্যাটিং অর্ডার বদলেছে। এখন মনে হচ্ছে, ব্যাটিং অর্ডার না বদলে কোচেদেরই বদলে ফেলা উচিত। সামনে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আছে। তার পরে ইংল্যান্ড সফর আছে। সেখানে কী ভাবে ভারত ভাল খেলবে? থ্রো-ডাউন করিয়ে হবে না। টেকনিক ও মানসিকতা দু’ক্ষেত্রেই বদল দরকার।” গাওস্কর আরও বলেন, “সকলে ব্যাটারদের দোষ দিচ্ছে। ওদের প্রশ্ন করছে। আমার তো মনে হয় কোচদেরও প্রশ্ন করা উচিত। এই ছ’মাসে তোমরা কী করলে? এই জবাব ওদের দিতে হবে।”

গত বছর জুলাই মাস থেকে ভারতীয় দলের প্রধান কোচ হয়েছেন গম্ভীর। দায়িত্ব নেওয়ার পর পছন্দ অনুযায়ী সহকারী কোচও পেয়েছেন তিনি। দলের সহকারী কোচ হিসাবে রায়ান টেন দুশখাতে, ব্যাটিং কোচ হিসাবে অভিষেক নায়ার ও বোলিং কোচ হিসাবে মর্নি মর্কেলকে এনেছেন তিনি। শুধুমাত্র ফিল্ডিং কোচ হিসাবে টি দিলীপকে রেখে দেওয়া হয়েছে। নতুন এই দল প্রথম ছ’মাসেই ফেল করেছেন। সেই কারণে কোচদের দিকেই আঙুল তুলছেন গাওস্কর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.