মৃতার ছেলে জয়ন্ত রায়ের বক্তব্য, গতাকাল কাজ থেকে ফিরে স্নান করে ঘরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী মালা গাঁথছে। আমি বললাম রাত হয়ে গিয়েছে। আর গাঁথতে হবে না। যাদের মালা তাদের এসে নিয়ে যেতে বলো। ও ফোন করে এসে বাইরে দাঁড়িয়ে রইল। আমিও বাইরে এলাম। ওইসময় দেখি সমীর মল্লিক গালাগালি দিতে দিতে যাচ্ছে। প্রায়শই আমাদের গালাগালি দিতে দিতে যায়। কারণ আমরা বিজেপি করি। ও টিএমসি করে। এর মধ্যেই আমাকে ঘুঁসি মেরে মাটিতে ফেলে দিল। আমার স্ত্রীকে বাঁশ দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল। এর মধ্যেই মা এসে পড়ে। তাকেও মারল। মা মাটিতে পড়ে গেল। পড়ে যাওয়ার পর ফের মারল। বাবা ছুটে এলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। আমরা ওর ফাঁসি চাই।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায় বলেন, কাল রাতে একটা ঘটনা ঘটেছে মানিকহীরা দেশপাড়ায়। সমীর মল্লিক নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী এলাকার বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে মারামারিতে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যুই বেদনার। খবরটা শোনার পরই প্রশাসনকে জানাই। পুলিস এসে সমীর মল্লিককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সকালে এলাকার বিজেপির লোকজন একত্রিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আইন অনুযায়ী যা হওয়ার তা হবে। সমীর মল্লিকের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাইছি। সমীর তৃণমূলের একজন কর্মী। এরকম কর্মী ওয়ার্ডে তিন থেকে চারশো জন থাকে। সমীরের সঙ্গে আমার সেরকম বন্ধুত্ব নেই। এভাবেই এরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হামলা হয়েছিল। এরকম হামলার নিন্দা করছি। সমীর মল্লিক এখন অপরাধী। তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।
এদিকে, ওই খুনে জেলা তৃণমূল যুব নেতার মদত রয়েছে এই অভিযোগে নিরুপম রায় নামে ওই নেতার বাড়ি ঘেরাও করে গ্রামবাসী। নিরপমের গ্রেফতারের দাবিতে সরব হন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে গাইঘাটা থানার পুলিস। বিক্ষাভকারীদের দাবি, নিরুপম যুব তৃণমূল নেতা হওয়ায় এলাকায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করে। স্থানীয়দের দাবি, গতকাল এলাকায় অভব্য আচরণ করছিল মত্ত সমীর মল্লিক। প্রতিবাদ করলে কানন দেবীর উপরে চড়াও হয় সমীর। তার মাথায় আঘাত করা হয়। তার বৌমকেও মারধর করা হয়। কানন দেবীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সক। তার পরেই মানুষের ক্ষোভ তৈরি হয়।
মৃতার ছেলে জয়ন্ত রায়ের বক্তব্য, গতাকাল কাজ থেকে ফিরে স্নান করে ঘরে ঢুকে দেখি আমার স্ত্রী মালা গাঁথছে। আমি বললাম রাত হয়ে গিয়েছে। আর গাঁথতে হবে না। যাদের মালা তাদের এসে নিয়ে যেতে বলো। ও ফোন করে এসে বাইরে দাঁড়িয়ে রইল। আমিও বাইরে এলাম। ওইসময় দেখি সমীর মল্লিক গালাগালি দিতে দিতে যাচ্ছে। প্রায়শই আমাদের গালাগালি দিতে দিতে যায়। কারণ আমরা বিজেপি করি। ও টিএমসি করে। এর মধ্যেই আমাকে ঘুঁসি মেরে মাটিতে ফেলে দিল। আমার স্ত্রীকে বাঁশ দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দিল। এর মধ্যেই মা এসে পড়ে। তাকেও মারল। মা মাটিতে পড়ে গেল। পড়ে যাওয়ার পর ফের মারল। বাবা ছুটে এলে তাকেও ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। আমরা ওর ফাঁসি চাই।
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায় বলেন, কাল রাতে একটা ঘটনা ঘটেছে মানিকহীরা দেশপাড়ায়। সমীর মল্লিক নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী এলাকার বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে মারামারিতে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যুই বেদনার। খবরটা শোনার পরই প্রশাসনকে জানাই। পুলিস এসে সমীর মল্লিককে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সকালে এলাকার বিজেপির লোকজন একত্রিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। আইন অনুযায়ী যা হওয়ার তা হবে। সমীর মল্লিকের দৃষ্টান্তমূলক সাজা চাইছি। সমীর তৃণমূলের একজন কর্মী। এরকম কর্মী ওয়ার্ডে তিন থেকে চারশো জন থাকে। সমীরের সঙ্গে আমার সেরকম বন্ধুত্ব নেই। এভাবেই এরা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে হামলা হয়েছিল। এরকম হামলার নিন্দা করছি। সমীর মল্লিক এখন অপরাধী। তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই।