তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বর্ধমান শহরের ঘটনা। ধৃতের বাড়ি বর্ধমান শহর এলাকায়। তবে বর্তমানে তিনি শহরের অন্যত্র থাকেন। সোমবার সকালে সেখান থেকেই তাঁকে পাকড়াও করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, বর্ধমান থানা এলাকায় অভিযোগকারিণীর বাড়ি। তাঁর অভিযোগ, রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে ধর্ষণ করেন প্রাক্তন প্রেমিক। পুলিশের কাছে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ এক বান্ধবীর সঙ্গে বাজারে গিয়েছিলেন। একটি ফুচকার দোকানে ফুচকা খান দুই বান্ধবী। সেখান থেকে ফেরার সময় তাঁর পথ আটকে দাঁড়ান অভিযুক্ত। তিনি কথা বলতে চাননি। এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতেই তাঁর হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন ওই যুবক। তিনি মোবাইল ফেরানোর দাবি করলে তাঁকে এক প্রকার টেনে নিয়ে যাওয়া সামনের একটি খেলার মাঠে। অন্য দিকে, তাঁর বান্ধবী ভয় পেয়ে পালিয়ে যান। তরুণী জানিয়েছেন, ওই মাঠে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন প্রাক্তন প্রেমিক। রবিবার রাতেই বর্ধমান থানায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।
‘নির্যাতিতা’র অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। সোমবারই তাঁকে হাজির করানো হয় বর্ধমান সিজেএম আদালতে। তদন্তের প্রয়োজনে ধৃতকে পাঁচ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বিচারক চার দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবারই ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে যুবতীর গোপন জবানবন্দি নথিভুক্ত করানো হয়েছে। ধৃতের মেডিক্যাল পরীক্ষা করানোর জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। তা মঞ্জুর হয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের ফরেন্সিক স্টেট মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধানকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন সিজেএম। নির্যাতিতারও শারীরিক পরীক্ষা হচ্ছে।