শিল্প ফুটপাত থেকেও শুরু হয়। তবে তা নিয়ে বেশি আলোচনার সুযোগ ঘটে না। কারণ তা আলোচনার স্তর পর্যন্ত পৌঁছয় না অধিকাংশ সময়ে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে এই শিল্পী ব্যতিক্রম। তবে তা শাকিলার একমাত্র পরিচয় নয়। তাঁর কাজ নানা স্তরের কথা বলে।
শাকিলা এক সময়ে জীবন শুরু করেছিলেন এ ভাবেই, ফুটপাতের কোনও এক কোণ থেকে। সেখানেই তাঁর শিল্পের পথে যাত্রা শুরু। কাগজের টুকরো দিয়ে ছোট ছোট করে ছবি বানাতেন। এখন তাই বড় বড় ক্যানভাসে পৌঁছয়। আর সে সব ছবি নিয়েই এ বার প্রদর্শনী শুরু হয়েছে সিমা গ্যালারিতে। চলবে আগামী এক মাস।

শিল্পী শাকিলার কথা বলছিলেন সিমা গ্যালারির অধিকর্তা রাখী সরকার। তিনি সেই ৯০-এর দশক থেকে দেখছেন শাকিলার কাজ। শিল্পী সাধারণের কথা বললেও, কী ভাবে তাঁর কাজ দেশ-কালের সীমা ছাড়িয়ে যায়, সে কথা সব সময়ে ভাবায় তাঁকে। তিনি বলেন, ‘‘শাকিলার সারল্যেই আসলে ওঁর জোর। তা ওঁর কাজ দেখলেই বোঝা যায়।’’
শুক্রবার ছিল প্রদর্শনীর সূচনা। সন্ধ্যায় সেখানে জড়ো হন নানা গুণী জন। সকলের উপস্থিতিতে হল প্রদর্শনীর সূচনা। শাকিলার কাজের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেন অভিনেত্রী মুনমুন সেন। তিনি জানান, নিজের মুম্বইয়ের ফ্ল্যাটে শাকিলার কাজ সাজানো ছিল অনেক দিন ধরে। পরে মুনমুন বললেন, ‘‘শাকিলা এত সহজে এমন গভীর কাজ করে ফেলেন, সেটাতেই আমি মুগ্ধ।’’ আর যাঁর কাজ নিয়ে এত কথা, সেই শাকিলা খালি বলেন, ‘‘নিজের ছবি নিয়ে আমি না কিছু বলতে পারি না। ছবিতেই সব বলা আছে।’’

এ বারের প্রদর্শনীতে আছে নানা ধরনের ক্যানভাস। কোনওটিতে আছে ধর্ষণের মতো কঠিন সত্য। কোথাও রয়েছে ওলটপালট সময়ে জীবনযুদ্ধের কথা। প্রদর্শনীর সূচনায় যোগ দিয়ে নাট্যকার সুমন মুখোপাধ্যায় বললেন, ‘‘এই সব খণ্ডচিত্রই তো এক হয়ে জীবনের কথা বলে। শাকিলার কাজ সে সব তুলে ধরেছে।’’
বালিগঞ্জ এলাকার সিমা গ্যালারিতে প্রদর্শনী চলবে আগামী ২৫ মে পর্যন্ত। গ্যালারি খোলা থাকে সকাল ১১টা থেকে।