নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলে দেওয়া হলো বীরেন্দ্র সেতু। সোমবার সকাল ৯-টা থেকেই শুরু হয়ে যায় যান চলাচল। ২০ আগস্ট সন্ধেয় এই খবর জানিয়ে দেওয়া হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে। এও জানানো হয়, সোমবার রাত ১১টা পর্যন্ত লোড টেস্টিংয়ের কাজ চলার কথা থাকলেও সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে ইঞ্জিনিয়াররা সন্তুষ্ট হওয়ায় সেই কাজ শেষ হয়ে যায় সোমবার সকাল ৮টাতেই। সকাল ৯টা থেকে আগের মতোই যানবাহন চলতে শুরু হয় বীরেন্দ্র সেতুতে।
তবে সূত্রের খবর, আপাতত সর্বাধিক ৮ টন ওজনের গাড়িই চলবে। আগামী ৭-৮ দিনের মধ্যে লোড টেস্টিংয়ের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এসে যাওয়ার পরে ৮ টনের বেশি ওজনের মালবাহী গাড়ি বা ট্রাক চলাচলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানাগেছে। তবে, ব্রিজের স্বাস্থ্য ভালো হলেই সেই ‘ছাড়পত্র’ মিলতে পারে বলে সূত্রের খবর।
টানা কয়েক মাস ধরে সংস্কারের কাজ চলার পর, গত ১৭ আগস্ট গভীর রাত থেকে সমস্ত ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে শুরু হয়েছিল সুপ্রাচীন এই সেতুর ভার বহন ক্ষমতা পরীক্ষা বা লোড টেস্টিং। সম্পূর্ণভাবে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি মেনে টানা প্রায় তিন দিন ধরে সেই কাজ চলার পর রবিবার ২০ আগস্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ারদের তরফে বীরেন্দ্র সেতুর স্বাস্থ্য নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়েছে। রবিবার সন্ধেতেই সেই বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের। তারপরই, সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সোমবার সকাল ন’টা থেকেই যানবাহন চলাচল করতে পারবে কংসাবতী নদীর উপর সড়কপথে অবস্থিত মেদিনীপুর-খড়্গপুর সংযোগকারী বীরেন্দ্র সেতুর উপর দিয়ে। ফলে স্বস্তিতে আপামর জেলাবাসী থেকে শুরু করে জেলার বণিক মহল।