চলতি মাসের ৫ তারিখ থেকে জলপাইগুড়ি শহরে সোনার গয়না বিক্রির ক্ষেত্রে এইচইউআরডি অর্থাৎ হল মার্কিং ইউনিট আইডেন্টি ফিকেশন নম্বর বাধ্যতামূলক করা হল। রবিবার জলপাইগুড়ি জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভায় কেন্দ্র সরকারের সোনা বিক্রির নতুন নিয়ম নিয়ে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানাগেছে।
অন্যদিকে এতদিন সোনার গয়নায় হলমার্ক করতে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা টাকা নিতেন না ক্রেতাদের থেকে। কিন্তু নতুন নিয়মে কেন্দ্র সরকারের তরফে জানানো হয় এইচইউআরডি করে ক্রেতাদের সোনার গয়না বিক্রি করতে হবে। এরজন্য প্রত্যেক সোনার গয়না পিছু বাড়তি ৪৫ টাকা করে ক্রেতাদের থেকে নিতে হবে। অন্যদিকে কানের দুলের ক্ষেত্রে যেহেতু দুটো সোনার গয়না এই কারণে ৯০ টাকা দিতে হবে। এ দিন শহরের
জেওয়াইএমআই ভবনে বার্ষিক সাধারণ সভা হলো অ্যাসোসিয়েশনের। সভার অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটির সম্পাদক হয়েছেন বিকাশ দাস, সভাপতি কমল বর্মণ, সহ সভাপতি সুজিত রায়, যুগ্ম সহ সম্পাদক সুব্রত রায় ও সুজিত রায়। মোট ১৫ জনের কার্যকরী কমিটি করা হয়েছে।
সম্পাদক বিকাশ দাস বলেন, “৫ জুলাই থেকে সমস্ত সোনার গয়না বিক্রির ক্ষেত্রে কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ মত এইচইউআরডি নম্বর করে সোনা বিক্রি করতে হবে। হলমার্কের পাশাপাশি এইচইউআরডি নম্বর বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। একটা জিনিস লক্ষ্য করা যাচ্ছে বিভিন্ন সোনার মার্কেটে ১৮-২০ ক্যারেটের সোনার হলমার্ক করা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের সকল ব্যবসায়ীর ২২ ক্যারেটের সোনায় হলমার্ক ও এইচইউআরডি করা হচ্ছে। এর জন্য প্রত্যেক সোনার গয়না পিছু ৪৫ টাকা বাড়তি দিতে হবে ক্রেতাদের। সেখান থেকে জিএসটি দেওয়া হবে কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ মত।”