৩০ বছর পরেও পাকিস্তান ভূত তাড়া করে গেল নিউজ়িল্যান্ডকে। আরও এক বার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারতে হল কিউয়ি বাহিনীকে। নিউজ়িল্যান্ডকে সহজে হারিয়ে এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠলেন বাবর আজ়মরা।
শুরুটা হয়েছিল ১৯৯২ সালের এক দিনের বিশ্বকাপে। সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের ঘরের মাঠে তাদের হারিয়েছিল ইমরান খানের পাকিস্তান। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান করেছিলেন নিউজ়িল্যান্ড। মার্টিন ক্রো করেছিলেন ৯১ রান। পাকিস্তানের হয়ে ওয়াসিম আক্রম ও মুস্তাক আহমেদ ২টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে এক ওভার বাকি থাকতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে গিয়েছিল পাকিস্তান। জাভেদ মিয়াঁদাদ ৫৭ ও ইনজামাম উল হক ৬০ রান করেছিলেন। ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বার বিশ্বকাপ জিতেছিল পাকিস্তান।
সাত বছর পরে আবার এক দিনের বিশ্বকাপের ফাইনালে সেই ছবি দেখা গিয়েছিল। ম্যাঞ্চেস্টারে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৪১ রান করেছিল স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নিউজ়িল্যান্ড। ফ্লেমিং, রজার টুজ়, ক্রিস ক্রেয়ান্স তিন জনই ভাল শুরু করে অর্ধশতরানের আগে আউট হয়ে যান। ফলে বড় রান হয়নি। পাকিস্তানের হয়ে শোয়েব আখতার ৩টি এবং ওয়াসিম আক্রম ও আব্দুল রজ্জাক ২টি করে উইকেট নিয়েছিলেন। ব্যাট করতে নেমে ১৫ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। ওপেনার সইদ আনোয়ার করেছিলেন শতরান। আর এক ওপেনার ওয়াজাতুল্লা ওয়াস্তি ৮৪ রান করেছিলেন। যদিও সে বার ফাইনালে গিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারতে হয়েছিল আক্রমদের।
এক দিনের বিশ্বকাপের ধারা বজায় থাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বতাপের সেমিফাইনাল আবার মুখোমুখি হয় দু’দল। কেপটাউনে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ রান করেছিল নিউজ়িল্যান্ড। রস টেলর করেছিলেন অপরাজিত ৩৭ রান। পাকিস্তানের হয়ে উমর গুল ৩টি ও ফাওয়াদ আলম ২টি উইকেট নিয়েছিলেন। সাত বল বাকি থাকতে সেই ম্যাচও জিতে গিয়েছিল পাকিস্তান। ওপেনার ইমরান নাজির করেছিলেন ৫৯ রান। ৬ উইকেটে জিতে ফাইনালে উঠে ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল পাকিস্তানকে।
এ বারও সেই একই ঘটনা ঘটল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। সিডনিতে পাকিস্তানের কাছে হেরে বিশ্বকাপ স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল নিউজ়িল্যান্ডের। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫২ রান করে নিউজ়িল্যান্ড। অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ৪৬ ও ড্যারিল মিচেল ৫৩ রান করেন। কিন্তু তার পরেও হার বাঁচাতে পারেনি তারা। ৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় পাকিস্তান।