একুশে জুলাই একদিকে ধর্মতলায় যখন তৃণমূলের সভা, সেই সময় রাজ্যজুড়ে বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি।
সেই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার বলেন, ভয় পেয়েছে। তাই বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। শুভেন্দুবাবু বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন বলেছে ৫০০ মিটার দূর থেকে বিডিও অফিসে কেউ ঢুকতে পারবে না। আমাদের মণ্ডল স্তরের কর্মীরা বিডিও অফিস ঘেরাও করবে। এখন কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বিডিও অফিসকে রক্ষা করার কাজে ব্যবহার করছে।
এদিন শুভেন্দুবাবু জানান, আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শনে আজ আমি ডায়মন্ডহারবার যাই। যেটা গোটা রাজ্যের মধ্যে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর। যেখানে প্রচুর মানুষ খুন হয়েছেন। ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে ২০০০ পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৪০০ আসনে বিরোধীদের মনোনয়ন দিতে অনুমতি দিয়েছে।
ভাইপো, পুলিশ সঙ্গে এসডিও, বিডিও, ডিএ ত্রয়ী এই কাজ করেছে। তার পরেও ৪০০ আসনে ভোটের দিন ঝামেলা করেছে। গণনার দিন লুট করেছে। পরে ৬-৭ জনকে জয়ী সার্টিফিকেট দিয়েছে। সেখানে বিজেপির বুথ সভাপতি ভোলানাথ মণ্ডলকে খুন করেছে। তাঁর স্ত্রী-কে এফআইআর করতে দেয়নি।
শুভেন্দুবাবু তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সাথে দেখা করে ওনাদের কাছ থেকে বিস্তারিত খোঁজ নেন। বিশদ খবর নিয়ে আইনি সহায়তা সহ সার্বিক ভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
বহরমপুর ব্লকে ব্লক আধিকারিক না থাকায় এ দিন অতিরিক্ত ব্লক আধিকারিকের হাতে স্মারকলিপি জমা দেন বিজেপি কর্মীরা। এদিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন, মুর্শিদাবাদ জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক লালটু দাস সহ অন্যান্য বিজেপি নেতা কর্মীরা।
এ দিন রাজারহাটে বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচি এবং রাস্তা অবরোধে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, দক্ষিণ মালদার সাংগঠনিক জেলা বিজেপির বিডিও অফিস ঘেরাও কর্মসূচিও হয়। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক ব্লকের নাইকুরি বিডিও অফিসে ময়নার বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিডিও অফিসে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভোট লুট এবং সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি নেতৃবৃন্দ।