তখনও আকাশে পুরোপুরি আলো ফোটেনি। তার মধ্যেই বিধ্বংসী আগুন লাগল কলকাতার একটি গেস্ট হাউসে। মধ্য কলকাতার ফ্রি স্কুল স্ট্রিটে এই গেস্ট হাউস অবস্থিত। সেখানে আগুনের লেলিহান শিখায় ঝলসে মৃত্যু হল এক বাংলাদেশি নাগরিকের। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন আরও দু’জন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দমকল সূত্রে খবর, এই গেস্ট হাউসে ১১টি ঘর। সবকটিই ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। ১৩টি দমকল ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। শর্টসার্কিট থেকে এই আগুন লাগেছে বলে প্রাথমিক অনুমান করা হচ্ছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এক ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ডিসি সেন্ট্রাল রূপেশ কুমার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে আগুন লাগে ৫ নম্বর মির্জা গালিব স্ট্রিটের গেস্ট হাউসে। গেস্ট হাউসের দোতলা থেকে দ্রুত এই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। দমকল আগুন নেভানোর চেষ্টার সঙ্গে সঙ্গে চালায় উদ্ধার কাজ। ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন। পরে এক ৬০ বছরের বৃদ্ধার দগ্ধ দেহ উদ্ধার হয়। তিনি বাংলাদেশি নাগরিক।
এই গেস্ট হাউসে ২৮ জন ব্যক্তি ছিলেন। চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে এখানে এসেছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই ঘটে গেল মর্মান্তিক পরিণতি। এখানে অনেককে বাঁচানো গেলেও মৃত্যু হয়েছে একজনের। তিনি বাংলাদেশের নাগরিক বলে সূত্রের খবর। বাকিদের মধ্যে কেউ কেউ আগুনে জখম হয়েছেন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে দমকল ও পুলিশ।