গুজরাতের মোরবীর ঝুলন্ত সেতু সংস্কারের দায়িত্বে ছিল যে সংস্থা, তার চার কর্মী গ্রেফতার। ওরেভা নামে একটি সংস্থা ব্রিটিশ আমলের ওই সেতুটি সংস্কার করে। অভিযোগ, স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই চালু করা হয়েছে সেতু। ‘গাফিলতি’ অভিযোগে সোমবার গ্রেফতার ওই সংস্থার চার মাঝারি স্তরের কর্মী।
২৬ অক্টোবর মোরবীর সেতু চালু হওয়ার পাঁচ দিনের মাথায় রবিবার ঘটে দুর্ঘটনা। রবিবার সেতু ভেঙে মারা গিয়েছেন ১৪১ জন। তার পর থেকে ফেরার সংস্থার উপরতলার কর্মীরা। জানা গিয়েছে, সেতুর প্রযুক্তিগত সংস্কারের দায়িত্ব অন্য একটি ছোট সংস্থার হাতে তুলে দিয়েছিল। ওই সংস্থার নাম ‘দেবপ্রকাশ সলিউশন’।
এই ওরেভা সংস্থার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, এই সেতু জন সাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার আগে প্রশাসনের সম্মতি নেওয়া হয়নি। সেতুর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে কোনও ‘ফিটনেস সার্টিফিকেট’ও নেওয়া হয়নি। শতাধিক মানুষের মৃত্যুর জন্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতিকেই দায়ী করা হচ্ছে। এর মধ্যে গ্রেফতার ২ জন।
সংস্কারের জন্য দীর্ঘ ৭ মাস সেতুটি বন্ধ ছিল। মোরবী পুরসভার তরফে সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ওরেভা সংস্থা তাদের কাছ থেকে কোনও শংসাপত্র নেয়নি। এমনকি সেতু সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যও সরকারকে জানানো হয়নি বলে অভিযোগ। ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে গুজরাত সরকার ৪ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এ ছাড়া আহতদের ৫০ হাজার টাকা দেবে সরকার।