জয়েন্ট বিডিও পরিচয় দিয়ে চাকরির লোভ দেখিয়ে মোটা টাকা প্রতারনার অভিযোগে উত্তর চব্বিশ পরগনা থেকে চার প্রতারককে গ্ৰেপ্তার করেছে বাঁকুড়া সাইবার ক্রাইম থানা। ধৃতদের আজ বাঁকুড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের আট দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাঁকুড়ার ডিএসপি (ডি এন্ড টি) সুপ্রকাশ দাস জানান, প্রতারকরা বিভিন্ন পঞ্চায়েতের প্রধান ও উপপ্রধানদের ফোন করে নিজেকে সংশ্লিষ্ট ব্লকের জয়েন্ট বিডিও পরিচয় দিয়ে ব্লকে একাধিক শূন্যপদে চাকরির প্রস্তাব দিত। সেই টোপ গিলে কয়েক লক্ষ টাকা খোয়া গিয়েছিল একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপ প্রধান ও তাঁদের ঘনিষ্ঠদের। তিনি বলেন, গত ১৬ ও ১৭ জানুয়ারি ওন্দা ব্লকের কল্যাণী পঞ্চায়েত ও বেলিয়াতোড় থানার পিড়রাবনি পঞ্চায়েতের উপপ্রধানদের ফোন করে ১ লাখ ৬০ হাজার ও ৪৭ হাজার টাকা তাদের অ্যাকাউন্টে জমা করতে বলে। সেই মত তারা টাকা জমা দেন। পরে প্রতারণার ছক বুঝতে পেরে তারা ওন্দা থানা ও বাঁকুড়া সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ করেন। তারপর পুলিশ ফোনের কল লিস্ট ধরে তাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে। এপর্যন্ত বাঁকুড়া সাইবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল সেই প্রতারক চক্রের চার পান্ডা। বিশেষ অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতে উত্তর চব্বিশ পরগনার বাসিন্দা ওই চার প্রতারককে গ্রেফতার করেছে বাঁকুড়া সাইবার থানার পুলিশ।
জানাগেছে, প্রতারকরা সংশ্লিষ্ট ওন্দা ও বড়জোড়া ব্লকের আশা কর্মী ও আইসিডিএস সহ একাধিক শূন্যপদে দ্রুত নিয়োগ করা হবে বলে জানায়। উপ প্রধানদের আত্মীয় বা পরিচিত কেউ ইচ্ছুক থাকলে দ্রুত তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। এরপর কল্যাণী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ও পিড়রাবনি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের মাধ্যমে তিন জন যুবক পৃথক পৃথক ভাবে অজানা ওই মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করলে নিয়োগের জন্য নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা ফোন পে’র মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়। প্রতারকদের কথামতো ৩ জন পৃথক পৃথক ভাবে সর্বমোট ২ লক্ষ ৭ হাজার টাকা নির্দিষ্ট ফোন পে অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেন। ৩ জনকেই জানানো হয় পরের দিন সংশ্লিষ্ট ব্লকের বিডিও অফিসে ওয়াক এন্ড ইন্টারভিউয়ে হাজির হওয়ার জন্য। পরের দিন তিনজন সংশ্লিষ্ট বিডিও অফিসগুলিতে গেলে বুঝতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পুলিশের দাবি, এই চক্রে আরো বেশ কয়েকজন যুক্ত রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। ধৃতরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।