সারা রাতের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মহারাষ্ট্রের নাগপুর। অতি ভারী বৃষ্টির জন্য শহরের একটা বিরাট অংশ ডুবে গিয়েছে। ১০ হাজার বাড়ি জলের তলায়। নাগপুরের বন্যায় ইতিমধ্যে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে এক জন পঙ্গু মহিলাও রয়েছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, নাগপুরের সুরেন্দ্রগড়ে অতি ভারী বৃষ্টির জেরে বন্যার জল ঢুকে যায় সন্ধ্যা ধোর এবং তাঁর মা সায়াবাই ধোরের বাড়িতে। পরিবারের বাকি সদস্যেরা সায়াবাইকে বাঁচাতে পারলেও, পঙ্গু রোগী সন্ধ্যাকে পারেনি রক্ষা করতে। বিপর্যয়বাহিনী শনিবার তাঁর দেহ উদ্ধার করে তাঁদের বাড়ি থেকেই।
পুলিশ সূত্রে খবর, গিত্তিখাদানে মৃত্যু হয় ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার। তাঁর নাম মীব়াবাই কাপ্পুস্বামী। তিনি তাঁর বাড়িতে একাই থাকতেন। বৃষ্টির জল তাঁর বাড়িতেও ঢুকে যায়। ওই জলে ডুবেই মধ্য রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। শনিবার ভোর ৬টা নাগাদ মীব়াবাইয়ের আত্মীয়রা তাঁর দেহটি খুঁজে পান।
শনিবার সন্ধ্যায় ধানতলি থানা এলাকার কাছের একটি নর্দমা থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁর নাম বা বাসস্থান কোনও কিছুই মেলেনি। সঞ্জয় শঙ্কর গাদেগাওকর নামে অযোধ্যা নগর এলাকার এক চা বিক্রেতারও ডুবে মৃত্যু হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। সরকারি মেডিক্যাল হাসপাতালের মধ্যেই বন্যার জলে ডুবে তার মৃত্যু হয়।
মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফডণবীস জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেবেন। এ ছাড়াও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বড় দোকানগুলি এবং রাস্তার ধারের ছোট দোকানগুলিকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছেন।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ী জানান, তিনি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাগুলি পরিদর্শন করার সময় অপ্রত্যাশিত ভারী বৃষ্টির জেরে প্রাণহানির ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার রাত ২টো থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত নাগপুরে আনুমানিক ৯০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামী ২৪ ঘন্টার জন্য জেলায় একটি কমলা সর্তকতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।