রাজ্যসভার প্রাক্তন সদস্য তথা পায়নিয়র পত্রিকার ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সম্পাদক চন্দন মিত্র বুধবার গভীর রাতে প্রয়াত হন। বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন সাংবাদিক স্বপন দাসগুপ্ত চন্দন মিত্রের মৃত্যু সংবাদ টুইট করে জানান। চন্দন মিত্রের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর ছেলে কুশন মিত্র জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই একাধিক শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেনে চন্দনবাবু। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৫।
এদিন সকালে স্বপন দাসগুপ্ত টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আম সকালে আমি আমার সবথেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু – পায়নিয়য়রের সম্পাদক তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ চন্দম মিত্রকে হারালাম। আমরা লা মার্টিনিয়রে একসঙ্গে পড়াশোনা করেছিলাম। পরে সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ এবং অক্সফোর্ডেও গিয়েছিলাম। আমরা একই সময় সাংবাদিকতা শুরু করি। সেই সময় অযোধ্যা এবং গেরুয়া ঝড়ের উত্সাহকে বুঝতে পেরেছিলেন তিনি।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট বার্তা লেখেন, ‘চন্দন মিত্রজিকে আমরা সবাই তাঁর বুদ্ধি এবং দূরদৃষ্টির জন্য মনে রাখব। তিনি রাজনীতির পাশাপাশি গণমাধ্যমের জগতেও নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদাভাবে তুলে ধরেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি মর্মাহত। তাঁর পরিবার এবং অনুগামীর প্রতি আমার সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।’
বর্ষীয়ান সাংবাদিক চন্দন মিত্র দুই দফায় (২০০৩ থেকে ২০০৯ ও ২০১০ থেকে ২০১৬) রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন৷ প্রথমবার রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য হিসাবে এবং দ্বিতীয়বার বিজেপির টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ হন তিনি৷ পরবর্তীতে বিজেপির টিকিটে লোকসভা নির্বাচনে হুগলি হাসন থেকে লড়লেও হারতে হয়েছিল তাঁকে। পরে ২০১৮ সালে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে মতবিরোধের জেরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।