দু:স্থের কল্যাণে ‘দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দির’

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছিলেন “বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর।” সব কল্যাণ কাজের পেছনেই নারীর ভূমিকা থাকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে। মানব সেবার কাজেও নারীরা পিছিয়ে নেই। সংসারের নানাবিধ কাজ সামলেও তারা সমাজের মানুষের ব্যথার শরিক হচ্ছেন। বিভিন্ন ভাবে নারীদের পিছিয়ে রাখার চেষ্টা হলেও তাদের অদম্য ইচ্ছাশক্তির কাছে সবাই আজ পরাজয় মেনেছে। এই শক্তি রূপিণী নারীর কমনীয় রূপের প্রকাশ পেল ‘দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দির’-এর সদস্যাদের সেবাকাজের মাধ্যমে।

আজ নদিয়া জেলার বীরনগরের জয়পুর গ্রামে শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন ‘দেশের মাটি মাতৃ মিলন মন্দির’- এর সদস্যারা। এদিন কম্বল, ধুতি, শাল ও শাড়ি তুলে দেওয়া হয় গ্রামের দু:স্থ মানুষদের হাতে। এই প্রচন্ড শীতে পোশাক পেয়ে তারা ভীষণ খুশি হন। এই কাজে আর্থিক সাহায্য করেছেন নিবেদিতা কর, নন্দিনী ভট্টাচার্য, পারমিতা গুপ্ত ও রামানুজ গোস্বামী।

এদিনের এই পোশাক বিতরণের কাজে মুখ্য ভূমিকা নেন সংগঠনের সদস্যা ঊর্মিলা খামারিয়া। তিনি বলেন, মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। স্বামী বিবেকানন্দ ও মা সারদার দেখানো মানব সেবার আদর্শকে আমরা জীবনের মূল মন্ত্র হিসাবে গ্রহণ করেছি। পাশাপাশি আমরা নারীদের সচেতন করছি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। প্রত্যেক নারীকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে যেন নিজেদের রক্ষা করতে শেখে -সে বিষয়েও আমরা সচেতন করছি।

এদিনের কাজে সংগঠনের সদস্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নীলা মোদক, অপর্ণা খামারিয়া, বিশো মোদক, ফেলু মোদক ও সমাজসেবী রমা রায়।

আগামী দিনে মেয়েদের শারীরিক ও মানসিক ভাবে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানান রমা রায়। অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না- এই বার্তাও দেন তিনি। নাম ভাঁড়িয়ে লাভ জেহাদে মেয়েদের ফাঁসানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান। এই সব বিষয়ে সবাইকে সচেতন হবার কথা বলেন রমাদেবী।

এদিনের এই কাজে সার্বিক সহোযোগিতা ও ব্যবস্থাপনা করেন ‘দেশের মাটি’ গোষ্ঠীর সদস্য মিলন খামারিয়া, ড: কল্যাণ চক্রবর্তী, মোহন্ত শর্মা ও মিন্টু শর্মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.