কালবৈশাখীর ওপর ভর করে দক্ষিণবঙ্গে আপাতত শেষ হল তাপপ্রবাহ। শনিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানিয়েছেন পূর্বাঞ্চলীয় আবহাওয়া অধিকর্তা। সঙ্গে আগামী কয়েকদিন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গে একযোগে ঝড়বৃষ্টি চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পূর্বাভাস অনুসারে, সমুদ্র থেকে দক্ষিণবঙ্গে বায়ুমণ্ডলের নিম্নস্তরে ঢুকছে প্রচুর জলীয় বাস্প। যার জেরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে। যার জেরে এক লাফে অনেকটা কমবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। তবে ঝড়বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে শনি ও রবিবার পশ্চিমের জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের ওপর দিয়ে। রবিবার ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে। তবে ২ মে থেকে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা সব থেকে বেশি থাকবে। ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে হাওয়া।
ওদিকে উত্তরবঙ্গে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি জারি থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার ও ২ মে সেখানে শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।
পূর্বাভাস অনুসারে ঝড়বৃষ্টির জেরে কমবে কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। শনিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে।
৫৯ দিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথম বৃষ্টি হয়। বৃষ্টি হয়েছে ছিঁটে ফোঁটা। তবে তাতেই স্বস্তি ফিরেছে শহরে। গোটা সপ্তাহের দহনের পর পারদ নেমেছে এক ধাক্কায়। শুক্রবার বিকেলে পর থেকে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে প্রবল কালবৈশাখী। যার জেরে বহু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।