রাজ্যে যে সব জায়গায় কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না, সেখানে বিজেপি শক্তিশালী হলে দলের কর্মীরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা পালন করবে। তারা লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত। এমনটাই মন্তব্য করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তিনি বলেন, বিধানসভা ভোট যেভাবে হয়েছে সেভাবে পঞ্চায়েত ভোট হওয়া উচিত ছিল। তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনী সঠিকভাবে মোতায়েন করা যেত। কিন্তু সন্ত্রাস হলে বিরোধীরা চুপ করে বসে থাকবে না। যেখানে বিজেপি শক্তিশালী সেখানে দলের কর্মীরা প্রতিরোধ করবে। যেখানে কংগ্রেস শক্তিশালী সেখানে তারা প্রতিরোধ করবে। যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে না সেখানে বিজেপি কর্মীরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ভূমিকা গ্রহণ করবে।
তাঁর কথায়, “রাজ্য সরকার উপযুক্ত পরিমাণে কেন্দ্রীয় বাহিনী আনবে না, এই ইচ্ছা প্রথম থেকেই ছিল। সেই মতো কাজ করছিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। এবার কিছুটা বাধ্য হয়েই কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছে। ৮২২ কোম্পানি তারা দাবি করেছিল কিন্তু ৮২২ কোম্পানি তো একেবারে দেওয়া সম্ভব নয়। সাধারণত বিধানসভা এবং লোকসভা ভোট এভাবে করা হয়। সেই জন্য গোটা দেশে ভোট বিভিন্ন পর্যায়ে করা হয়। স্বাভাবিকভাবেই সেটা করা হয়েছে। কিন্তু যা হচ্ছে এখন, তাতে নিচু তলার কর্মীরা তো চুপ করে বসে থাকবে না। সে কংগ্রেসেরই হোক আর বিজেপিরই হোক। যেখানে যার শক্তি আছে তারা প্রতিরোধ করবে। মারামারি হবে, রক্তক্ষয় হবে। বিজেপির যেখানে ক্ষমতা আছে সেখানে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকে তাহলে বিজেপি কর্মীরাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাজ করবে। আমরা তৈরি আছি লড়াইয়ের জন্য। আমাদের কর্মীরা তৈরি আছে লড়ার জন্য।”
সুকান্তবাবু এই মন্তব্যের পাল্টা দিতে গিয়ে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন বলেছেন, সুকান্ত বাবুর বড় দুর্দিন পড়েছে, তাই কংগ্রেসকে দলে টানতে হচ্ছে। সারা রাজ্যে প্রত্যেক ভোটের পিছু একজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে আর প্রতি বুথে এক দফায় ভোট করেও বিরোধীরা জিততে পারবে না।
আদালতের নির্দেশে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী চেয়েছে কমিশন। কিন্তু এই বাহিনীর কেন্দ্রীয় সরকার পাঠাবে কিনা সেটা স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে একাধিক দফায় পঞ্চায়েত নির্বাচন করানোর দাবি তুলেছে বিজেপি সহ বিরোধীরা। ওদিকে প্রতি বুথে বাহিনী মোতায়েনের দাবিতে সরব হয়েছেন ভোট কর্মীরাও।