কানাডায় আগুন তো কঙ্গোতে বন্যা। বড় ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত থাকছে পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকা। বন্যা ও ভূমিধসে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে আফ্রিকার ছোট্ট দেশ কঙ্গো (Congo)। বন্যা (Flood) ও ভূমিধসে (Landslide) সেখানে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২০০-র বেশি মানুষের। নিখোঁজ বহু। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলার সবরকম চেষ্টা চলছে। গত কয়েকদিন ধরে ঘটে চলা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে এই সংকট নেমে এসেছে সেখানে। যার জেরে, আজ, ৮ মে, সোমবার কঙ্গোতে জাতীয় শোকদিবস (National Mourning Day) ঘোষণা করেছেন কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট (Congo President) ফেলিক্স শিসেকেদি। পাশাপাশি শোকপ্রকাশ করেছে রাষ্ট্রসংঘও। শুধু শোক প্রকাশই নয়, ইতিমধ্যেই দুর্যোগ-বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে ত্রাণ পাঠানোর ব্যবস্থাও করেছে রাষ্ট্রসংঘ।
কী ঘটেছিল?
গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কিভু প্রদেশের কালে অঞ্চলে এক আকস্মিক বন্যায় ভেসে যায় বুশুশু ও নিয়ামুকুবি অঞ্চল। অতিরিক্ত বন্যার জেরে নিয়ামুকুবির পার্বত্য অঞ্চলে নামে ভূমিধস। তবে সেদিন প্রাণহানি তেমন ঘটেনি। কেননা, জানা গিয়েছিল, ওইদিন সেখানে বন্ধ থাকে সাপ্তাহিক বাজার। তাই প্রাণহানি সেদিন কিছুটা এড়ানো গিয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। গত কয়েকদিন ধরেই সেখানে চলেছে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত, বন্যা এবং ভূমিধস। আর তার জেরে লাফিয়ে বেড়েছে মৃত্যু।
কঙ্গোর সরকারি তথ্য বলছে, দক্ষিণ কিভুর সীমান্তবর্তী রাওয়ান্ডা এলাকাতেই বন্যা ও ভূমিধসের জেরে মৃত্যু হয়েছে ১৩০ জনের! ৫ হাজারের বেশি ঘর ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে। যোগাযোগব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ডুবে গিয়েছে বিস্তীর্ণ কৃষিজমি। এবং কঙ্গোর অন্যত্র মৃত্যুও ঘটেছে। সবমিলিয়ে মোট ২০৩ জনের দেহ উদ্ধার করা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত মাসেই ভূমিধসের কবলে পড়েছিল উত্তর কিভু। সেই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল ২০ জনের। তার আগে ২০১৪ সালের অক্টোবরে বন্যায় বিধ্বস্ত হয়েছিল কঙ্গো। সেই সময় ১৩০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন।
বন্যা ও ভূমিধসে কঙ্গোয় এত মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের সচিব। তিনি রাওয়ান্ডা ও কঙ্গোর প্রাকৃতিক দুর্যোগকে সর্বনাশা বলেও উল্লেখ করেন। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, এই বিপর্যয় গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়েরই কুফল।