প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে বিদ্যুতের ঝলকানি। সেই বজ্রাঘাতে রাজ্যে একই দিনে পাঁচ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন দু’জন মহিলা। মৃতদের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া এবং নদিয়ার রানাঘাটে।
মঙ্গলবার বিকেলে হলদিয়ার ভবানীপুর থানার দেভোগ অঞ্চলের বড়বাড়ি গ্রামে বজ্রাঘাতে মারা যান দুই ব্যক্তি। পুলিশ সুত্রে খবর, তাঁদের নাম পিন্টু বেরা (৫০) এবং সমরেশ বেরা (৪৫)। পাশাপাশি, হলদিয়ার সুতাহাটা থানার কসবেড়িয়া গ্রামে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে মামণি মালি নামে ৪০ বছরের এক মহিলার। মারা গিয়েছেন রাধারানি ভৌমিক নামে আরও এক জন। অন্য দিকে, রানাঘাটে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে অপর্ণা বিশ্বাস নামে ৩২ বছরের এক মহিলার।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বিকেলে সমরেশের জমিতে ধান রোয়ার কাজ চলছিল। সেই সময় মুষলধারে বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে বাঁচতে মাঠের পাশের একটি বড় গাছের তলায় আশ্রয় নেন দু’জন। কিন্তু ওই গাছেই বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। পরে গ্রামবাসীরা এসে তাঁদের উদ্ধার করেন। স্থানীয় বাসিন্দা সঞ্জীব প্রামাণিক বলেন, “সমরেশের পরিবারে ওই একমাত্র রোজগেরে। ওর ছেলেমেয়েরা সবাই ছোট।’’ অন্য দিকে, পিন্টুর বিবাহযোগ্যা মেয়ে এবং বৃদ্ধা মা রয়েছেন। আচমকা দু’টি মৃত্যুর ঘটনায় শোকস্তব্ধ গ্রামবাসী। পরে ভবানীপুর থানার পুলিশ গিয়ে দু’টি দেহ উদ্ধার করে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
অন্য দিকে, মঙ্গলবার বিকেলেই থালা-বাসন ধোয়ার জন্য পুকুরে গিয়েছিলেন সুতাহাটার কসবেড়িয়ার বধূ মামণি। তিনি বাসন মেজে বাড়িতে ফেরার সময়ই বাজ পড়ে। সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
সুতাহাটার হোড়খাল গ্রাম পঞ্চায়েতের বেগুনাবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা রাধারানি ভৌমিক (৫৪) মারা গিয়েছেন বজ্রাঘাতে। তুমুল বৃষ্টির মধ্যে চাষের জমিতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিনি। মাথায় বাজ পড়ে তাঁর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন, সুতাহাটা উন্নয়ন ব্লকের বিডিও আসিফ আনসারি।
মঙ্গলবার বিকেলে রানাঘাট থানা এলাকায় কাজ করে থেকে ফিরছিলেন বছর ৩২-এর বধূ অপর্ণা বিশ্বাস। সে সময় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ প্রবল বৃষ্টি হচ্ছিল। বাড়ির কিছুটা আগে আচমকা বাজ পড়ে গুরুতর আহত হন অপর্ণা। তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।