কুনোর জঙ্গলে প্রথম শিকার ধরল আফ্রিকা থেকে আসা চিতারা। যে আটটি চিতাকে নামিবিয়া থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ২টি চিতাকে শনিবার জঙ্গলের মধ্যে আরও বড় এলাকায় ছাড়া হয়েছিল। ছাড়া পাওয়ার পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিকার ধরে ফেলল তারা।
জানা গিয়েছে, চিতাগুলি একটি চিতল হরিণ ধরতে পেরেছে। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সোমবার সকালের মধ্যে কোনও এক সময় হরিণটি শিকার করেছে তারা। শিকারে সফল এই চিতাদের একটির নাম ফ্রেডি, অন্যটির নাম এলটন। কুনোর জঙ্গলে প্রায় ৫০ দিন নিভৃতবাসে রাখা হয়েছিল চিতাগুলিকে। শনিবার সন্ধ্যায় তাদের মধ্যে থেকে ২টি পুরুষ চিতাকে আরও বড় এলাকায় ছাড়া হয়। তার পরেই এল চিতাদের শিকারে প্রথম সাফল্য।
এ প্রসঙ্গে বনবিভাগের এক কর্মী বলেছেন, ‘‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে চিতারা প্রথম শিকার করতে পেরেছে, এটা আশাতীত। এর অর্থ, ওরা একেবারে সুস্থ সবল রয়েছে। নিভৃতবাসে থাকায় ওদের শক্তি কমে যেতে পারে বলে অনেকে মনে করছিলেন। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি।’’
চিতাগুলিকে যে বড় এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে হরিণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন আধিকারিকরা। বাকি ৫ চিতাকেও এই বড় পরিসরে ছাড়া হবে শীঘ্রই। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকার মধ্যে এই চিতাগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, এই পুরো প্রক্রিয়াটি ধাপে ধাপে সম্পন্ন করা হবে।
কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা অথবা নামিবিয়া থেকে আগামী ৫ বছর ধরে ধাপে ধাপে ৫০টি চিতা ভারতে আনা হবে। এদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ অল্পবয়স্ক চিতা। যাতে তাদের থেকে ভারতে চিতার পর্যাপ্ত বংশবৃদ্ধি ঘটে, সে জন্যই তাদের আনা হচ্ছে।