হাওড়ার শিবপুরে রঙের কারখানায় ভয়াবহ আগুন। বুধবার দুপুর নাগাদ শালিমারের বার্জার পেন্টসের কারখানায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। কারখানায় প্রচুর রাসায়নিক মজুত থাকার কারণে ছড়িয়ে পড়ে আগুন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে দমকলের ছ’টি ইঞ্জিন। এখনও পর্যন্ত ১৮ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সকলকে কলকাতায় পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। জখমদের মধ্যে কয়েক জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কারখানার ম্যানেজারও। দমকল সূত্রে খবর, রঙের কারখানার ভিতরে রাসায়নিক মিক্সিং প্ল্যান্টে শর্ট সার্কিটের কারণে বয়েলিং কন্টেইনার ফেটে যায়। তার জেরেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুপুর আড়াইটে নাগাদ জোরালো শব্দে কিছু একটা ফাটে। ওই আওয়াজ শুনে বাইরে বেরিয়ে দেখেন কারখানার এলাকা কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছে। কারখানার পাশেই বসতি এলাকা থাকায় আশঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসীরা। যদিও তার কিছু ক্ষণের মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে দেয় দমকল বাহিনী। আগুন নেভানোর কাজে দমকল বাহিনীকে সাহায্য করেন স্থানীয়েরাও। প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রথমে ঘটনাস্থলে দমকলের দু’টি ইঞ্জিন এসেছিল। পরে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়তে থাকায় আরও চারটি ইঞ্জিন ডাকা হয়নি। তবে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আনা যায়নি। কী কারণে আগুন লেগেছে, তাও এখনও স্পষ্ট নয় বলেই খবর দমকল সূত্রে। ঘটনাস্থলে এসেছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। অগ্নিকাণ্ডের তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এসেছিলেন সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়ও।
সূত্রের খবর, অগ্নিকাণ্ডের সময় কারখানায় ৭০-৮০ জন কর্মী ছিলেন। তাঁদের মধ্যেই ১৮ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। পরে ১৫ জন অগ্নিদগ্ধকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার সিএমআরআই হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে যাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক, অর্থাৎ যাঁদের শরীর বেশি পুড়ে গিয়েছে, তাঁদের নিয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।