সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া একটি চক্রকে ধরে ফেলল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তদন্ত সংস্থা ‘স্টেট ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এসআইএ)’। এসআইএ-র হাতে ধরা পড়া ওই চক্রটি ৮৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করে তা জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দিয়েছিল বলে অভিযোগ। এই চক্রের সঙ্গে কাশ্মীর পুলিশের এক পুলিশকর্তা এবং শ্রীনগরের এক ব্যবসায়ী জড়িত ছিলেন বলেও সন্দেহ তদন্তকারীদের। ইতিমধ্যেই পুলিশের ওই উচ্চপদস্থ আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে।
এসআইএ বুধবার থেকে শুক্রবারের মধ্যে ২২টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই চক্রটিকে ধরে ফেলে। শুক্রবার সকালে শ্রীনগর, পুলওয়ামা এবং অনন্তনাগ জেলার ১০টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। অভিযান চলাকালীন সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত বহু সামগ্রী উদ্ধার করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ বৈদ্যুতিন যন্ত্র রয়েছে।
সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়ার অভিযোগ তুলে অগস্ট মাসে একটি মামলা দায়ের হওয়ার পর তদন্তে নেমেছিল এসআইএ। তদন্ত সংস্থার মতে, সাম্প্রতিক কালে জঙ্গিদের অর্থ দিয়ে সাহায্য করা এত বড় চক্র পুলিশের জালে ধরা পড়েনি।
এসআইএ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘এটি জঙ্গিদের আর্থিক মদত দেওয়ার একটি মামলা। যেখানে ৮৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে এবং গোপন মাধ্যমে সেই টাকা জঙ্গিদের হাতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। সেই টাকা কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ ছড়ানোর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’’ সন্ত্রাসে আর্থিক মদত দেওয়া এই চক্রের সঙ্গে দুবাইযোগ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন তদন্তকারীরা।