আজকের দিনের ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ জাগরণের জন্য কাজ করে চলেছে “আনন্দমঠ – স্বদেশ, শিকড় ও উত্তর প্রজন্ম”। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ থানা এলাকার পানশিলার এই সংগঠনটি ২০১৮ সাল থেকে এই কাজ করছে। এবছর সংগঠনটি পঞ্চম বর্ষে পা রাখলো। সেই উপলক্ষে বৃহস্পতিবার খড়দহের মেনকা হলে একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ছাত্র ছাত্রীরা যাতে পাঠ্যপুস্তক ও পরীক্ষার বাইরেও আমাদের এই দেশের পথিকৃৎ, ঋষি তুল্য মহামানবদের কর্মজীবন ও উপদেশ অনুধাবন ও অনুসরণ করতে পারে, তার জন্য এই সংগঠন প্রতিবছর বিভিন্ন কার্যক্রম করে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় কম করে ২০ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে থাকে। ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র, ঋষি অরবিন্দ, ভগিনী নিবেদিতা এর পর এবছর ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর কে নিয়ে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
গতকাল ছিল অংশগ্রহণকারী ছাত্র ছাত্রীদের পুরষ্কার বিতরণ ও ছাত্র ছাত্রীদের উল্লেখযোগ্য লিখিত অংশ নিয়ে পুস্তিকার উন্মোচন। অনুষ্ঠান শুরু হয় প্রদীপ প্রজ্বলন ও সরস্বতী বন্দনা দিয়ে। অনুষ্ঠান চলাকালীন শীর্ষ আচার্য, ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয় এর লাইভ ছবি অঙ্কন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঋষি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের উত্তরসুরি ও রাজা রামমোহন রায়ের উত্তরসুরি।
বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা দেশাত্মবোধক কবিতা, গান ও নাচ করে উপস্থিত দর্শকদের অভিভূত করে। সংগঠন এর স্থাপনার উদ্দেশ্য সকলের সামনে তুলে ধরেন সংগঠন এর বর্তমান সহ সম্পাদক জ্যোতি প্রকাশ। তিনি আগামী প্রজন্মের কাছে আহ্বান জানান, আনন্দ মঠ এর এই জ্ঞানের মশাল ধরে এই সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
উপস্থিত সকল বিশিষ্ট অতিথি, বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিল্পীদের উত্তরীয়, স্বারক, একটি করে গাছ ও শ্রীকৃষ্ণ নামাঙ্কিত কাপড়ের ব্যাগ উপহার দেওয়া হয়।
বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের দ্বারা পরিবেশিত সম্পূর্ণ বন্দে-মাতরম গান এর তালে নাচ এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপন হয়। সংগঠন এর সম্পাদক মিতালী মুখার্জি ও আনন্দ মঠ এর পুরো পরিবার এর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এই অনুষ্ঠানটি সুচারুরূপে সম্পন্ন হয়েছে।