হাসপাতালে মৃত্যু হল গাজ়িয়াবাদের আবাসনে কাজ করা মহিলা নিরাপত্তারক্ষীর। তাঁকে আবাসনের মধ্যেই গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় যুক্ত সন্দেহে আবাসনের নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত রক্ষীদের প্রধানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত রবিবার ঘটনাটি ঘটে। তার পর থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন নির্যাতিতা।
আবাসনের নিরাপত্তার কাজে নিযুক্ত মহিলারই নিরাপত্তার বড় অভাব। এই নিরাপত্তাহীনতার সুযোগ নিয়েই তাঁকে ধর্ষণের অভিযোগ তাঁরই সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ওই মহিলা আবাসনের ধারেকাছেই তাঁর কাকিমার সঙ্গে থাকতেন। কাজ করতেন আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে। অভিযোগ, গত রবিবার তাঁকে আবাসনের বেসমেন্টে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন কয়েক জন নিরাপত্তারক্ষী। তাতে অন্যতম অভিযুক্ত ৩২ বছরের অজয়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে, অজয়ের উপরেই আবাসনের নিরাপত্তা জোগানোর ভার ছিল। তাঁরই অধস্তন হিসাবে কাজ করতেন ওই মহিলা।
মহিলার পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে বেসমেন্টে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করেন অজয় এবং আরও কয়েক জন। তার পরেই মহিলা অপমানে বিষ পান করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। কিন্তু দু’দিন লড়াই চালানোর পর মৃত্যু হল তাঁর।
গাজ়িয়াবাদ (গ্রামীণ) ডিসিপি বিবেকচাঁদ যাদব সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ধর্ষণের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমে পড়েছে পুলিশ। যদিও পুলিশ মনে করছে, গণধর্ষণের ঘটনা হয়তো ঘটেনি। নিশ্চিত হতে বেসমেন্টে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাতে গণধর্ষণের কোনও চিহ্ন মেলেনি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে মারধরের ঘটনা যে ঘটেছিল, তা বুঝতে পেরেছে পুলিশ।
মহিলার ভিসেরার ফরেন্সিক পরীক্ষা করানো হচ্ছে। সেই রিপোর্ট এলে বিষয়টি স্পষ্ট হবে। মহিলার ফুসফুসে একটি গুরুতর সমস্যা ছিল বলে পুলিশের দাবি। সেই সমস্যাতেই মৃত্যু কি না, তা এখনও পরিষ্কার নয়। তবে তিনি যে বিষপান করেছিলেন, তা একপ্রকার নিশ্চিত চিকিৎসকেরা।