দিল্লির সীমান্তে প্রতিবাদরত কৃষকদের বিরুদ্ধে সামরিক ধাঁচের ব্যারিকেড তৈরি করা ছাড়াও চারদিক থেকে তাঁদের খাবার, জল, শৌচালয় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সংলগ্ন অঞ্চলের মানুষ প্রতিবাদকারীদের যে খাবার সরবরাহ করছিলেন, তা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিপুরমুখী রাস্তা পুলিশ নিজেই আটকে দিচ্ছে যাতে সেখানে কৃষকরা আসতে না পারেন, অন্য কেউ সহায়তা নিয়ে পৌঁছাতে না পারেন। কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাজধানীর ভিতর থেকেই ঘিরে ফেলা হয়েছে। ব্যারিকেডে সিমেন্ট ঢেলে স্থায়ী পাঁচিল তৈরি করা হয়েছে। পরিখা কেটে দেওয়া হয়েছে রাস্তা খুঁড়ে। রাস্তায় পেরেক পুঁতে দেওয়া হয়েছে। দিল্লি রাজ্য সরকার কৃষকদের জল সরবরাহ করছিল। দিল্লি জল বোর্ডের জলের ট্যাঙ্কারকে দিল্লি পুলিশ প্রতিবাদস্থলে যেতে দিচ্ছে না। যদিও দিল্লি জল বোর্ড সরাসরি রাজ্য সরকারের অধীন কর্পোরেশন। গুরু তেগবাহাদুর স্মারকে শৌচালয়ের যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা শক্তি প্রয়োগ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্বাচিত দিল্লি সরকারকেও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল। তা আপাতত দিল্লির দিকে খুলে দেওয়া হলেও হরিয়ানায় তা বন্ধই রাখা হয়েছে। প্রতিবাদস্থলে কোনও সংবাদমাধ্যমকেও যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অন্তত এক কিলোমিটার আগে পুলিশ আটকে দিচ্ছে। সিঙ্ঘু, টিকরি, গাজিপুরকে ঘিরে কয়েক হাজার পুলিশ ও আধা সামরিক জওয়ান মোতায়েন করা হয়েছে।
গাজিপুরে কৃষকদের ধরনা (Farmers Protest) মঞ্চে বিরোধী নেতৃত্বকে যেতে দিল না পুলিস। ধরনা মঞ্চে যাওয়ার আগেই আটকে দিল তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় (Sougata Roy) সহ বিরোধী নেতৃত্বকে। মূল ধরনা মঞ্চ থেকে দেড় কিলোমিটার আগে আটকে দেওয়া হয় তাঁদের। আটকে দেওয়া হয় সংবাদমাধ্যমকেও।
সমস্ত বিরোধী দলগুলির তরফে আজ গাজিপুরে কৃষকদের ধরনা (Farmers Protest) মঞ্চে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু গাজিপুরে প্রবেশের মুখে প্রথম ব্যারিকেড জোর করে পেরলেও, দ্বিতীয় ব্যারিকেড থেকেই ফিরিয়ে দেওয়া হয় বিরোধী নেতাদের। ধরনা মঞ্চে যেতে বাধা দেওয়া হয়। পুলিসের দাবি, ধরনা মঞ্চে যাওয়ার জন্য কোনও আগাম অনুমতি নেওয়া হয়নি। এদিকে বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ, সেখানে যে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতারা যেতে পারবেন না, এমন কোনও নির্দেশিকা প্রশাসনের তরফে ইস্যু করা হয়নি। ফলত তাঁরা কোনও আগাম অনুমতির আবেদনও জানাননি।