ভুয়ো–বিভ্রান্তিমূলক‌–সাম্প্রদায়িক খবর সম্প্রচার নয়, নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন


পয়গম্বর বিতর্কে রাজ্যের নানা প্রান্তে অশান্তি চরমে উঠেছিল। এই নিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংবাদমাধ্যম খবর সম্প্রচার করেছে। তার জেরে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি। তাই টিভি চ্যানেলগুলির উদ্দেশে নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন। কোনওভাবেই যাতে রাজ্যের শান্তি এবং সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট না হয় তার জন্যই এই পদক্ষেপ বলে জানা গিয়েছে।

ঠিক কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়?‌ নবান্নের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করে এমন কোনও খবর বা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা যাবে না। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু টিভি চ্যানেল এমনভাবে খবর বা ঘটনা সম্প্রচার করছে যা ভুয়ো, বিভ্রান্তিমূলক, যে খবরে ‘সাম্প্রদায়িক সুর’ আছে এবং যা রাজ্যের শান্তি বিঘ্নিত করছে। তাই ১৯৯৫ সালের কেবল্ টেলিভিশন নেটওয়ার্ক রেগুলেশন অ্যাক্টের সেকশন ১৯–এ ধারা অনুযায়ী এমন খবর সম্প্রচার নিষিদ্ধ।

কেন এই সতর্ক করা হল?‌ পয়গম্বর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর দেখা গিয়েছে হাওড়া, নদিয়া–সহ একাধিক জায়গায় অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ থেকে সংঘর্ষের মতো ঘটনা ঘটে। তাই নবান্নের তথ্য ও সম্প্রচার দফতরের পক্ষ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কেবল্ টেলিভিশন নেটওয়ার্ক রেগুলেশন অ্যাক্টকে অমান্য করে বিভ্রান্তিকর কোনও খবর সম্প্রচার করা যাবে না। যেভাবে কিছু চ্যানেলে খবর সম্প্রচার হচ্ছে তা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে নবান্ন।

ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন?‌ পয়গম্বর বিতর্কে দেশজুড়ে প্রতিবাদ চলছে। বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা এবং নেতা নবীন জিন্দলদের গ্রেফতারির দাবি উঠেছে। সেই বিক্ষোভের আঁচ আছড়ে পড়ে বাংলাতেও। এই বিতর্কিত মন্তব্যের জেরেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় জেলায় জেলায়। হাওড়ায় কিছুদিন ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। পরে আবার চালু করে দেওয়া হয়েছে। তাই সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক খবর যাতে আর না দেখানো হয়, সে জন্য নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.