আন্তর্রাজ্য চক্রের পর্দাফাঁস। ভুয়ো পাসপোর্টকাণ্ডে শিলিগুড়ি থেকে গ্রেফতার ২। হাওড়ার পর সিবিআইয়ের হানা এবার কলকাতায়ও। তল্লাশি চলল ব্রেবোর্ন রোড ও রুবিতে।
জাল নথি, সঙ্গে মোটা টাকা। দালাল মারফৎ অফিসারদের ঘুষ দিলেই পাসপোর্ট! কীভাবে? বাংলা ও সিকিমে একযোগে অভিযানে সিবিআই আধিকারিকরা।
দিকে দিকে সিবিআই হানা
—
রুবি
বেব্রোন রোড
উলুবেড়িয়া, হাওড়া
উত্তরবঙ্গ
সিকিম
সিবিআই সূত্রে খবর, এই ভুয়ো পাসপোর্ট চক্রের মূলপাণ্ডা গৌতমকুমার সাহা। সিকিমের গ্যাংটকে রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার হিসেবে কর্মরত তিনি। শুক্রবার শিলিগুড়ির এনজেপির কাছে তাঁকে গ্রেফতার করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বরুণ সিং রাঠৌর নামে পাসপোর্ট অফিসেরই এক কর্মীর। ১৬ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেফতার হন তিনিও। কবে? গতকাল, শনিবার রাতে।
ধৃতদের কাছ থেকে প্রচুর জাল নথিও উদ্ধার করেছে সিবিআই। যার ৯৯ শতাংশই নেপালি তরুণীদের! গৌতম ও বরুণকে ট্রান্সজিট রিমান্ডে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কলকাতায় নজরে ডেপুটি পাসপোর্ট অফিসার।
কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘রুজিরা নারুলার পাসপোর্ট সবচেয়ে বড়। রুজিরা নারুল দুটি পাসপোর্ট আছে, দুটো বাবার নাম। দুটি পাসপোর্ট আছে, দুটো বাবার নাম। এরা সব যুক্ত। আর শান্তনু সিনহা বিশ্বাসও যুক্ত। রুজিরা নারুলার অবৈধ পাসপোর্ট করে দিয়েছিল’। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, ‘এরা যা করেছে, পরিণতি কী হয় দেখবেন’।
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের পাল্টা দাবি, ‘এর সঙ্গে তৃণমূলের কোথাও কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূলের সঙ্গে উন্নয়নের পাল্লা দিতে পারছে না। জনসংযোগে পাল্লা দিতে পারছে না। সেকারণেই কুৎসা আর এজেন্সিকে অপব্যবহার’।