পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপকভাবে ছড়িয়েছে ভুয়ো খবর। কিন্তু বাংলায় পর্যাপ্ত লোক নেই বলে তা ঠেকানো যায়নি। মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (এসইসি) একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্ট পেশ করে এমনই দাবি করলেন ফেসবুকের ‘হুইসেল ব্লোয়ার’ ফ্রান্সেস হাউজেন।
ফেসবুকের প্রাক্তন কর্মী নিজের অভিযোগ স্বপক্ষে বিভিন্ন নথিপত্র জমা দিয়েছেন। রিপোর্টে ফ্রান্সেস দাবি করেছেন, ফেসবুকের তরফে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছিল যে পশ্চিমবঙ্গের ৪০ শতাংশ প্রথমসারির ‘ভিউ পোর্ট ভিউস’ (ভিপিভি) সিভিক পোস্টারই ভুয়ো বা অসত্য। একটি ক্ষেত্রে এমনই একটি অসত্য পোস্টে গত ২৮ দিনে ৩০ মিলিয়নের বেশি ভিউ হয়েছিল (সবথেকে বেশি ‘ভিউ পোর্ট ভিউস’)। তবে কোন সময়ের মধ্যে সেই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল, সে বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, রাজনৈতিক ধারণা গড়ে তুলতে বিভিন্ন লোকজন সিভিক কনটেন্ট ছড়িয়ে দেন। যাঁরা ‘অথেন্টিক’। সেই বার্তাই ঘুরেফিরে এসে পুরো বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
ফ্রান্সেস দাবি করেছেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) পরিচালিত অ্যাকাউন্টগুলির পোস্ট প্রোমোট করেছে। হাউজেন বলেন, ‘আরএসএসের ইউজার, গ্রুপ এবং পেজগুলি ভীতি প্রদর্শনকারী, মুসলিম-বিরোধী কনটেন্টের প্রচার করে। যা হিংসা এবং প্ররোচনার উদ্দেশ্যে হিন্দুপন্থী জনগোষ্ঠীকে টার্গেট করে (পৌঁছানোর চেষ্টা করে)। মুসলমানদের শুয়োর এবং কুকুর-এর সঙ্গে তুলনা করে অসংখ্য অমানবিক পোস্ট ছিল এবং কোরানে পুরুষদের তাদের পরিবারের সদস্যদের ধর্ষণের কথা বলা হয়েছে, এমন কথা বলে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছিল।’
যদিও রিপোর্টে ফ্রান্সেস দাবি করেছেন, ভুয়ো খবরের বাড়বাড়ন্ত সত্ত্বেও অধিকাংশ জিনিসপত্র ফেসবুকের নজরে আসে না বা কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বাংলা এবং হিন্দিতে লোকজনের অভাবের জন্য সেরকম কনটেন্টের বেশিরভাগটাই ফেসবুকের নজরে আসে না বা কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে দাবি করেছেন ফেসবুকের সিভিক ইন্টেগ্রিটি গ্রুপের প্রাক্তন প্রোডাক্ট ম্যানেজার।