কমিশনকে ‘বুঝিয়ে’ নির্বাচনী প্রচারের নিয়ম নিয়ে ‘লবিবাজি’ ফেসবুকের, দাবি নথিতে

২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে ‘বুঝিয়ে’ সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা থেকে বিরত রাখতে সক্ষম হয়েছিল ফেসবুক। সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাটির অভ্যন্তরীণ নথিতে এমনই তথ্য উঠে এসেছে। নির্বাচনী প্রচারের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভেবেছিল কমিশন। তবে ফেসবুক সেই বিষয়ে বিধিনিষেধ শিথিল করতে বোঝায় নির্বাচন কমিশনকে। এমনকি স্বইচ্ছায় নৈতিকতা অবলম্বনের নিয়ম আনতে বলা হয় কমিশনকে। এর ফলে 

জানা গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানী ইন্টারনেট অ্যান্ড মোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়াকে দিয়ে নিজের মতামত ও দৃষ্টিভঙ্গি কমিশনের সামনে উত্থাপন করেছিল ফেসবুক। ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ নথিগুলি প্রকাশ্যে এনেছেন হুইসেলব্লোয়ার ফ্রান্সিস হাউগেন। এদিকে কমিশের নথিতে দেখা যাচ্ছে যে তারা কঠোর সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রক কাঠামো চেয়েছিল। তবে নির্বাচনের জন্য নতুন আইনে আগ্রহী ছিল না তারা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

এদিকে নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র বলেন যে তারা ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ এই প্রতিবেদনের বিষয়ে জানে না। তার দাবি, এই নথিতে উল্লেখিত বিষয়টি সঠিক বলে মনে হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘সাইলেন্স পিরিয়ডে সোশ্যাল মিডিয়া সহ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াতে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন চিরকালই নিষিদ্ধ। আরপি অ্যাক্টের ১৯৫১-এর ধারা ১২৬(১)(বি) অনুযায়ী, ভোট গ্রহণের ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে কোনও নির্বাচনী বিষয় (রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন) টেলিভিশন বা অনুরূপ যান্ত্রিক (ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া) মাধ্যমে প্রদর্শন নিষিদ্ধ।’

এদিকে এই বিষয়ে মেটার এক মুখপাত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে ইমেল করে বলেন, ‘ভারতে নির্বাচনী বিশুদ্ধতা প্রচার করার কাজটা আমরা একা করতে পারি না। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে আমরা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মিলে ভারতের নির্বাচন কমিশনের নৈতিকতার কোডের বিষয়ে সম্মত হই।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.