আগামী দিনে যুদ্ধক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে মঙ্গলবার বহু প্রতীক্ষিত ‘ফিউচার ইনফ্র্যান্ট্রি সোলজার অ্যাজ এ সিস্টেম’(এফ-ইনসাস)-কে ভারতীয় সেনার হাতে তুলে দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। এ দিন দিল্লিতে একটি অনুষ্ঠানে সেনার হাতে আগামী দিনের যুদ্ধাস্ত্রের পুরো সেট তুলে দেন তিনি।
যুদ্ধাস্ত্রের আধুনিকীকরণের পথে বড়সড় পদক্ষেপ। সেনাকে নিরাপদ রাখতে এফ-ইনসাস পদ্ধতি চলে এল ভারতীয় সেনার হাতে। হাতের রাইফেল থেকে শুরু করে মাথার হেলমেট। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধনে এফ-ইনসাস পদ্ধতি হয়ে উঠবে ভারতীয় সেনার অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, এমনটাই মনে করা হচ্ছে।
এফ-ইনসাসে রয়েছে, একটি একে ২০৩ অ্যাসল্ট রাইফেল। ৩০০ মিটারের পাল্লাসম্পন্ন রাইফেলটি তৈরি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের অমেঠির কারখানায়। এ ছাড়াও রয়েছে একটি ব্যালিস্টিক হেলমেট, একটি ব্যালিস্টিক গগলস, বুলেটপ্রুফ ভেস্ট, কনুই রক্ষার জন্য বিশেষ প্যাড। হেলমেট ও ভেস্ট ৯ এমএম বন্দুকের গুলি এবং একে ৪৭-এর গুলি থেকে সেনাকে রক্ষা করবে। এ ছাড়াও এফ-ইনসাসে সুবিধা থাকবে যোগাযোগ স্থাপনেরও। যুদ্ধক্ষেত্রে কমান্ড পোস্টের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখতে থাকবে একটি হ্যান্ডস-ফ্রিও। পদাতিক সৈন্যদের হেলমেটে লাগানো থাকবে নাইট ভিশন সুবিধাসম্পন্ন যন্ত্র।
২০০০ সাল নাগাদ ‘ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন’ (ডিআরডিও) এই অত্যাধুনিক পদ্ধতি নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করে। যা আদতে সেনার সমরাস্ত্রের আধুনিকীকরণের প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। এ জন্য ডিআরডিও-র গবেষকরা আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি ও ইজরায়েলে প্রচলিত এই ধরনের পদ্ধতি নিয়েও পরীক্ষানিরীক্ষা করেন।
ভারতীয় সেনার হাতে এফ-ইনসাস তুলে দেওয়ার অনুষ্ঠানে, এই পদ্ধতি কী ভাবে কাজ করবে তা বিস্তারিত ভাবে দেখানো হয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে। তিনি গোটা পদ্ধতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এফ-ইনসাস পদ্ধতি ব্যবহার করা শুরু করলে ভারতীয় সেনা আরও মজবুত ও শক্তিশালী হয়ে উঠবে।