বহু মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক! ‘স্বামীকে যদি ওমানাইজার তকমা দেন স্ত্রী, তাহলে তা চরম নিষ্ঠুরতা’, মত দিল্লি হাইকোর্টের। দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের রায়ই বহাল রাখল আদালত।
বিবাহবিচ্ছেদ তো এখন আকছার হচ্ছে। এমনকী, যাঁরা ভালোবেসে বিয়ে করেন, তাঁদের সম্পর্কও পৌঁছে যাচ্ছে তিক্ততার চরম সীমায়! আদালতে দাঁড়িয়ে পরস্পরের দিকে আঙুল তুলছেন স্বামী-স্ত্রী। দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কুমার কাইত ও বিচারপতি নীনা বানশল কৃষ্ণার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ‘বিশ্বাস ও সম্মান বিয়ের মূলভিত্তি’।
ঘটনাটি ঠিক কী? বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, অফিসের বহু মহিলার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন তাঁর স্বামী। আদালত জানিয়েছে, ‘প্রয়োজনের সময়ে একে অপরের ভাবমূর্তি রক্ষার দায়িত্ব স্বামী এবং স্ত্রীরই। একজনের মানহানিকর, অপমানজনক এবং প্রমাণ হয়নি এমন অভিযোগে অপর জনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়। যা চরম নিষ্ঠুরতা’।
দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘দুর্ভাগ্যবশত, এই মামলায় স্ত্রীই স্বামীকে প্রকাশ্যে অপমান করছেন!অফিসের মিটিং চলাকালীন সহকর্মী বা অতিথিদের সামনে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগ করছেন। মহিলার সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ প্রমাণ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। স্বামীর প্রতি স্ত্রীর এই ব্যবহার চরম নিষ্ঠুরতা’।