শেষ কয়েকদিন ধরে রাজ্যের একাধিক জায়গায় একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর এই ঘটনায় একাধিক মৃত্যুও হয়েছে। বিরোধীরা বলছেন পশ্চিমবঙ্গ গোলা বারুদের উপর বসে আছে। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্যে এখন পিপিএল খেলা চলছে। আর এই লিগের আওতায় বাংলার সর্বত্র বোমা বারুদের গন্ধ পাচ্ছে মানুষ।
বিজেপির রাজ্য সভাপতির মতে পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষকে ভয় দেখাতে এবং বিরোধীদের ওপর হামলা করতে বোমা মজুদ করছে তৃণমূল কংগ্রেস। মঙ্গলবার বালুরঘাটে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এটা নতুন কিছু নয়, আমরা আগে থেকেই বলেছি এখন পঞ্চায়েত প্রিমিয়ার লিগ চলছে, পিপিএল। পঞ্চায়েত প্রিমিয়ার লিগের তৃণমূল কংগ্রেস গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন জায়গায় শহরের উপকণ্ঠে বারুদ জমা করে পেটো তৈরীর ব্যবস্থা করে। বোমা তৈরির ব্যবস্থা করেছে। যেগুলো পঞ্চায়েত ভোটে ব্যবহার করবে তারা ভোট লুট করতে।”
মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক ভোট লুট হবে না বললেও সুকান্তর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস এখন একটা নিয়ন্ত্রণবিহীন দলে পরিণত হয়েছে। সুকান্ত বলেন, “মু্খ্যমন্ত্রী এবং তার ভাইপো কত বড় বড় কথা বলছে, ভোট লুট করতে দেব না। তাদের কথা শুনবে কে? পুরো দলটা তো এখন কন্ট্রোল বিহীন, নিয়ন্ত্রণ বিহীনভাবে চলছে। স্বাভাবিকভাবে কেউ কখনো কথা শুনছে না। বিরোধীদের উপর বোমা ফেলা হবে, ভোট লুট করা হবে, মানুষকে ভয় দেখানো হবে, এটাই চলছে।”
মালদায় জনবহুল বাজার এলাকায় এক বাজির গুদামে আগুনের ঘটনায় দু’জনে মৃত্যু হয়েছে। কিভাবে এত জনবহুল এলাকায় বাজির গুদামের অনুমতি দেয় পুরসভা তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। সেই বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তৃণমূলের আমলে পুরসভা পয়সা সভা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সুকান্ত বলেন, “পৌরসভাকে পয়সা দিলে সব হয়ে যাবে। তৃণমূলের আমলে সব পৌরসভা পয়সা সভা হয়ে গেছে। পয়সা দিলে সবকিছুই হবে। ফেলো করি মাখো তেল। পয়সা যদি ঠিকমতো দিতে পারেন তাহলে পৌরসভার অফিস আপনাকে দিয়ে দেবে।”
একই সঙ্গে চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন প্রসঙ্গে আশ্বাস দিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “এই রাজ্য সরকার যতদিন আছে ততদিন হকের চাকরির মেলার কোনো সম্ভাবনা নেই আন্দোলনকারীদের। তবে বিজেপির সরকার গঠন হলে যারা যোগ্য, যারা উপযুক্ত, তারা চাকরি পাবেন, এটুকু আশ্বস্ত আমি করতে পারি।”