চোখ রাঙাচ্ছে এবার ভুতুড়ে এক ভাইরাস। নাম ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ ভাইরাস! ইতিমধ্যেই ৩০০-র বেশি আক্রান্ত। যদিও প্রাণহানির কোনও খবর মেলেনি এখনও। আতঙ্কের এপিসেন্টার উগান্ডা। নীলনদের অববাহিকায় অবস্থিত পূর্ব আফ্রিকার দেশ কাঁপছে ডিঙ্গা ডিঙ্গার ভয়ে! ভুতুড়ে ভাইরাসের বাসা বেঁধেছে মহিলাদের শরীরেই!
2/5
উগান্ডার বুন্ডিবুগিও জেলা
উগান্ডার বুন্ডিবুগিও জেলায় রহস্যময় ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঘটেছে। উগান্ডার প্রচলিত কথ্য ভাষায় এই শব্দের অর্থ হল-‘নাচের মতো কাঁপুনি’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যদিও ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ নিয়ে আপাতত সেভাবে চিন্তিত নয়, কারণ ডব্লিউএইচও-র পরিসংখ্যান বলছে, উগান্ডায় মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার খুবই বেশি। ফি- বছর ১ লক্ষ সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময়ে ৪৪০ জন প্রসূতির মৃত্যু ঘটে সেই দেশে! অসুরক্ষিত গর্ভপাত, প্রসবকালীন রক্তপাত, সংক্রমণ, প্রসবকালীন জটিলতা তো থাকেই। তার সঙ্গে ম্যালেরিয়া, ডায়াবেটিস, হেপাটাইটিসের মতো রোগ। এবার এই নতুন ভাইরাস যদি মেয়েদের আক্রমণ করে, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
3/5
‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ ভাইরাসের উপসর্গ
রোগীদের প্রচণ্ড জ্বরের সঙ্গেই থাকছে এবং অনিয়ন্ত্রিত কাঁপুনি। ‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ মনে করিয়ে দিচ্ছে ১৫১৮ সালের ইতিহাস! সেবার ঘুম কেড়ে নিয়েছিল ‘ডান্সিং প্লেগ’! ফ্রান্সের স্ট্রসবুর্গে এই রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটেছিল। আক্রান্তেরা পরপর কয়েকদিন ধরে নাচছিলেন। এবং নাচতে-নাচতে হাঁপাতে-হাঁপাতে মৃত্যুও ঘটেছিল কারও-কারও। আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪০০ জন!
4/5
‘ডিঙ্গা ডিঙ্গা’ ভাইরাস কি খুবই ভয়ংকর?
বুন্ডিবুগিও জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিক কিয়িতা ক্রিস্টোফার বলছেন ‘দেখুন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই যে ভেষজ কোনও ওষুধ এই রোগের চিকিৎসা করতে পারে। আমরা নির্দিষ্ট চিকিত্সা পদ্ধতি মেনে চলছি। যা দেখছি রোগীরা সাধারণত এক সপ্তাহের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন!
5/5