এই বঙ্গে পাঁঠার মাংসের দাম কেজি প্রতি, কম-বেশি ওই ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকার কাছাকাছি ঘোরাফেরা করছে! সাধ্য় থাকলেও সাধপূরণ হয় না অনেকেরই! এছাড়াও স্বাস্থ্য়ের কারণে মাটন থেকে একটু দূরেই থাকতে বলেন ডাক্তাররা। এহেন পরিস্থিতিতে সাধারণ মধ্য়বিত্তের ভরসা সেই মুরগি। যে পাখির মাংস ও ডিম ঘরে ঘরে। তবে এহেন মুরগি ও ডিম বাঙালির পাতে ওঠা নিয়ে একটা বিরাট অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গেল! আপাতত ওড়িশা থেকে মুরগি ও ডিম ঢোকার উপর রাজ্যে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে গেল। এমনটাই বৃহস্পতিবার নবান্ন সূত্রের খবর।
কেন এই নিষেধাজ্ঞা? কেন পড়শি রাজ্য থেকে আসবে না মুরগি-ডিম? জানা যাচ্ছে যে, ওড়িশার দু’টি গ্রামে নাকি বার্ড ফ্লুর হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ফলে আপাতত ওড়িশা থেকে কোনও ডিম ও মুরগির ট্রাকের এই রাজ্যে ঢোকার অনুমতি নেই। আগামী দুই সপ্তাহ এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। ইতোমধ্যে রাজ্যের প্রাণীসম্পদ দফতর রাজ্য পুলিসকে এই নির্দেশিকা কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছে। দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম। এই তিন জেলা থেকেই মূলত ওড়িশার মুরগির মাংস ও ডিম আসে এই রাজ্যে। এই তিন জেলার পুলিসকেই বিশেষভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই বাংলায় মুরগির মাংস ও ডিম উৎপন্ন হয়, তারউপর আপাতত কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে পোলট্রিজাত জোগানে যে টান পড়তে চলেছে তা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায়। কারণ টানা ১৪ দিন ওড়িশা থেকে মুরগি-ডিম বোঝাই ট্রাক না ঢুকলে যে সমস্য়া হবে, তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।