অবৈধ পোস্ত চাষের হদিশ পেয়ে প্রায় ৮০ বিঘা জমির তিরিশ হাজার পোস্ত গাছ ট্রাক্টর দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করলো বাঁকুড়ার আবগারি দপ্তর।আজ মেজিয়ায় দামোদরে মানাচরে এই অভিযান চালানো হয়।
গত ৫ জানুয়ারি মেজিয়া থানা এলাকার দামোদরের মানাচরের ৩০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে অবৈধ পোস্ত চাষের হদিশ পায় আবগারি দপ্তর। সেদিনের নজরদারিতে বাঁকুড়ার আবগারি দফতর প্রায় ৪০০ বিঘা পোস্ত চাষের হদিশ পায় বলে জানিয়েছিলেন আবগারি কর্তারা। আজ মঙ্গলবার খোঁজ পাওয়া যায় আরও ৮০ বিঘা জমির উপর প্রায় ৩০ হাজার পোস্ত গাছের। আজ পুলিশ প্রশাসন ও কেন্দ্রীয় নারকোটিক দফতরের কর্তাদের নিয়ে জেলা আবগারি দফতর ওই পোস্ত গাছগুলি ট্রাক্টর দিয়ে মাড়িয়ে নষ্ট করে দেয়।
ফের অভিযান চলবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট দফতরের সুপারিনটেনডেন্ট অফ এক্সাইজ তুহিন নাগ। তিনি বলেন, বাঁকুড়ার মেজিয়া ও বড়জোড়া ব্লক এলাকার দামোদর নদের মানাচরের পলি মাটির উর্বর জমি পোস্ত চাষের উপযুক্ত এলাকা। এই সব এলাকা এতটাই দুর্গম যে লোকচক্ষুর আড়ালে তো বটেই প্রশাসনের লোকজনও এই দুর্গম স্থানের হদিশ করতে পারে না সহজে। তাই আন্ত:রাজ্য মাদক মাফিয়ারা মানাচরের গরিব মানুষদের কাজে লাগিয়ে এখানে পোস্ত চাষ করিয়ে অবৈধ মাদক ব্যবসায় কোটি কোটি টাকা রোজগার করে।
জানা গেছে, ফি বছর আবগারি দফতর পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য নিয়ে বিঘার পর বিঘা পোস্ত গাছ নষ্ট করে। তারপরও মাদক মাফিয়ারা নলবনের ভিতরে হাজার হাজার বিঘা জমিতে অবৈধ পোস্ত চাষ করে। এবার মরশুমের শুরুতেই অবৈধ পোস্ত চাষ বন্ধ করতে তৎপর হয়েছিল সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তারই ফাঁকে প্রশাসনের অগোচরে বেড়ে উঠেছিল যে পোস্ত চারা গুলি তার আসল মালিককে চিহ্নিত করতে না পারলেও তার সন্ধানে তল্লাশি অভিযান চলবে বলে জানান তুহিন বাবু।