প্রথম দফার ভোট….
প্রথম দফা ভোটে দেখতে পাচ্ছি, হার নিশ্চিত জেনে অগণিত বুথে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ এনে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করছে একটি রাজনৈতিক দল। প্রত্যেক ক্ষেত্রে সেই দলের কর্মী ভোটারদের বক্তব্য হলো ভোট তাদের প্রার্থীকে দিলে VPPad মেশিনে দেখাচ্ছে ভোট পড়েছে বিজেপিতে।
…টেকনিক্যালি এটা সম্ভব নয়। পূর্বপরিকল্পনামাফিক একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা প্রিসাইডিং অফিসারদেরকে এই অভিযোগ মৌখিকভাবে জানাচ্ছেন। এসব ক্ষেত্রে ইলেকশন কমিশনের দেওয়া যে নির্দিষ্ট ফর্ম প্রিসাইডিং অফিসারদের বুথে বুথে দেওয়া হয়, সেই নির্দিষ্ট ফর্মে কেউ লিখিত অভিযোগ জানাচ্ছেন না, পাছে মিথ্যে অভিযোগ প্রমাণিত হয় যায়!
…আমার বন্ধু তালিকায় কোনো প্রিসাইডিং অফিসার বা পোলিং অফিসার থাকলে, তাদের নির্দিষ্ট করে বলছি, বোঝাই যাচ্ছে প্রত্যেক দফায় একটি রাজনৈতিক দল এভাবেই অযৌক্তিক অভিযোগ এনে ভোট বানচালের চেষ্টা করবে। বুথের বাইরে হাঙ্গামা করে উত্তেজনা ছড়াবে।
…কোনো বুথে এরকম ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ যিনি এই ধরণের অভিযোগ করেছেন, তাকে প্রিসাইডিং অফিসার ডেকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে বোঝান, এই ধরণের অভিযোগ করার আইনি অধিকার তার আছে। তাই তাকে উত্তেজিত হয়ে আইন হাতে তুলতে মানা করুন। তাকে বলুন ভারতীয় নির্বাচনী আইন অনুসারে তার এইধরণের অভিযোগ থাকলে তাকে টেস্ট ভোটের নির্দিষ্ট ফর্মে লিখিতভাবে সই করে অভিযোগ জানাতে হবে, তার ভোটারস ডিটেইলস নথিভুক্ত করতে হবে এবং অভিযোগকারী ভোটার, পোলিং এজেন্ট, কেন্দ্রীয় বাহিনী, পোলিং অফিসারদের উপস্থিতিতে অভিযোগকারী ভোটার EVM এ পুনরায় ভোট দেবেন। এবং VVPad মেশিনে মিলিয়ে দেখা হবে যে প্রার্থীকে উনি ভোট দিয়েছেন সেই প্রার্থীর সিম্বল এ ভোট পড়ছে কিনা! প্রয়োজনে এই টেস্ট ভোটের ভিডিও রেকর্ডিংও করা যেতে পারে। অভিযোগকারী ভোটারকে প্রিসাইডিং অফিসার স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেবেন যদি তার অভিযোগ সত্য হয় তাহলে কন্ট্রোল ইউনিট/EVM বদল হবে, এবং নতুন EVM মেশিনে পুনরায় ওই বুথে/কেন্দ্রে ভোট হবে নতুবা মিথ্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগ এনে ভোট বানচালের চেষ্টার দায়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এবং এক্ষেত্রে সাজা ছ মাস থেকে সর্বোচ্চ তিনবছর হতে পারে।
…এটা শোনার পর অভিযোগকারী ভোটার যদি লিখিত অভিযোগ দায়ের না করে পিছিয়ে যান স্বাগত। যদি সে টেস্ট ভোট দেয় সেটাও স্বাগত। কিন্তু লিখিত অভিযোগ না জানিয়ে, টেস্ট ভোট না দিয়ে যদি বুথের বাইরে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ভোট প্রক্রিয়া পন্ড করার ষড়যন্ত্র করে, তাহলে তৎক্ষণাৎ সেক্টর অফিসারকে ফোন করে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী ডেকে বুথের বাইরের হাঙ্গামা বন্ধ করার ব্যবস্থা করুন ও ভোট প্রক্রিয়া ওই মেশিনেই চালু রাখুন।
…সাধারণ মানুষকে ইলেকশন আইন ও আজকের প্রথম দফা ভোটের অগণিত বুথের বাস্তব ঘটনা জানালাম। আপনারা গণতন্ত্র বিরোধীদের সব মরিয়া অপচেষ্টা বন্ধ করে নিজের ভোট নিজের পছন্দের প্রার্থীদের দিন। সঠিকভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মানুষের সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের অধিকার নিশ্চিত করুন।