আগামী দু’দিন কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি চন্দ্রযান-৩, সাফল্যের সঙ্গে উতরোতে চায় ইসরো

পৃথিবীর আগল খুলে চাঁদের পথে পাড়ি দিয়েছে চন্দ্রযান ৩। আপাতত সে মাঝপথে। সব ঠিকঠাক চললে শনিবার অর্থাৎ ৫ অগস্ট পৌঁছে যেতে পারে চাঁদের কক্ষে। কিন্তু তার আগে আগামী দু’দিন তার সামনে বড় ঝুঁকিও রয়েছে।

সোমবার অর্থাৎ ৩১ জুলাই পৃথিবীর কক্ষপথ ছেড়ে নিজের গতি বাড়িয়ে চাঁদের কক্ষের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এর পরে চাঁদের আকর্ষণক্ষেত্রের ঢুকে পড়ার কথা তার। তার পর চাঁদের আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে তার চারপাশে বেশ কয়েক পাক ঘুরে ক্রমশ গতি কমিয়ে তা চলে আসবে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে। তার পর শুরু হবে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষা। পালকের মতো ভেসে ভেসে আলতো করে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করাতে হবে ল্যান্ডার বিক্রমকে। যার ভিতরে থাকা চন্দ্র অভিযাত্রী যান প্রজ্ঞান নেমে আসবে চাঁদের মাটিতে। শুরু হবে চাঁদের মাটিতে ভারতের ‘হাঁটি হাঁটি পা পা’। কিন্তু সে অনেক দূরের কথা। গত বার এই পালকের মতো অবতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল চন্দ্রযান-২। এ বার সেই ভুল ইসরো শুধরোতে পারবে কি না সেটা দেখার। তবে তারও আগে চন্দ্রযান-৩কে যথাযথ ভাবে স্থাপন করতে হবে চাঁদের কক্ষে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অঙ্কের সামান্য ভুলে যদি চন্দ্রযান-৩ শেষ পর্যন্ত চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছতে না পারে, তবে তা আবার ঘুরে চলে আসবে পৃথিবীর কক্ষপথে। কিন্তু সেখান থেকে তাঁকে আবার চাঁদে পাঠানোর মতো জ্বালানি আর থাকবে না। সে ক্ষেত্রে চন্দ্রযান-৩কে ‘লস্ট মিশন’ বা ব্যর্থ অভিযান বলেই ধরে নেওয়া হবে।

সে ক্ষেত্রে কি চন্দ্রযান-৩ পৃথিবীর কক্ষপথেই চিরকাল ঘুরে যাবে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তখন ইসরোর প্রয়াস হবে, পৃথিবীর কক্ষপথ থেকে চন্দ্রযান-৩কে ভূপৃষ্ঠে ফেরানো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.