বিরাটদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ব্যর্থ বোলাররাও! ক্যাচ ফস্কে, রান গলিয়ে হার বাংলাদেশের কাছে

এক দিনের সিরিজ়ে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। ভারতকে ১ উইকেটে হারিয়ে দিল তারা। বল হাতে শাকিব আল হাসান ৫ উইকেট নিয়ে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের রান করতে দেননি। লোকেশ রাহুল ৭৩ রান করলেও ভারতের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৮৬ রানে। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৪৬ ওভারে জয়ের রান তুলে নেয় বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজ শেষ বেলায় ৩৯ রান করে ৩৮ রান করে দলকে জেতালেন।

টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। শুরুতেই শিখর ধাওয়ানের উইকেট হারায় ভারত। মাত্র ৭ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। মেহেদি হাসান মিরাজের বলে বোল্ড হন ধাওয়ান। তিন নম্বরে নেমে মাত্র ৯ রান করে আউট বিরাট কোহলি। ভারত অধিনায়ক রোহিত করেন ২৭ রান। নিউ জ়িল্যান্ডে ভাল খেলা শ্রেয়স আয়ার করেন মাত্র ২৪ রান। ৯২ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারায় ভারত। একই ওভারে রোহিত এবং বিরাটকে সাজঘরে ফেরান শাকিব।

সেখান থেকে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান রাহুল এবং ওয়াসিংটন সুন্দর। তাঁরা ৬০ রানের জুটি গড়েন। সুন্দর ১৯ রান করেন। রাহুল ৭৩ রান করেন। তিনি চারটি ছক্কা এবং পাঁচটি চার মারেন। সেই জুটিও ভাঙেন শাকিব। তিনি ১০ ওভার বল করে ৩৬ রান দিয়ে ৫ উইকেট নেন। বাংলার শাহবাজ় আহমেদ ব্যাট হাতে ব্যর্থ। চার বল খেলে কোনও রান না করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। শার্দূল ঠাকুর (২) এবং দীপক চাহারকেও (০) একই ওভারে ফেরান শাকিব।

বাংলাদেশের হয়ে চার উইকেট নেন ইবাদত হোসেন। শ্রেয়স, রাহুল, শাহবাজ় এবং মহম্মদ সিরাজের উইকেট নেন তিনি। এক দিনের ক্রিকেটে মাত্র ১৮৬ রান তোলে ভারত।

সেই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশ শেষ ১৫৬ রানে। বাংলাদেশকে প্রথম ধাক্কাটা দেন দীপক চাহার। প্রথম বলেই নাজমুল হোসেন শান্তকে সাজঘরে পাঠিয়ে দেন তিনি। মহম্মদ সিরাজ নেন তিনটি উইকেট। ওয়াশিংটন সুন্দর নেন দু’টি উইকেট। তাঁর বলে ক্যাচ দেন শাকিব আল হাসান। বিরাট যে ভাবে ঝাঁপিয়ে ক্যাচটা নিলেন তাতে অনেকের মতে উইকেটটি তাঁরই। অভিষেক ম্যাচে উইকেট পেলেন কুলদীপ সেনও। দু’টি উইকেট নেন তিনি। একটি উইকেট নেন শার্দূল ঠাকুর। বাকি ছিল একটি উইকেট। সেটাই নিতে পারলেন না কেউ।

বাংলাদেশের হয়ে শেষ উইকেটের জুটিতে মেহেদি এবং মুস্তাফিজুর রহমান ৫১ রানের জুটি গড়েন। শেষ উইকেটটি নিতেই পারলেন না ভারতের কোনও বোলার। ম্যাচ জেতার খুব কাছে পৌঁছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত হেরেই মাঠ ছাড়লেন রোহিতরা। ক্যাচ ফেললেন লোকেশ রাহুল। যিনি ৭৩ রান করে ভারতের ব্যাটিংয়ে ভরসা হয়ে উঠেছিলেন, তিনিই গ্লাভস হাতে ভারতের হারের কারণ হয়ে রইলেন। ৫ রানের মাথায় মেহেদির সহজ ক্যাচ না ফেললে ম্যাচ জিতে যেত ভারত।

রবিবারের ম্যাচের আগে সিরিজ় থেকে ছিটকে যান ঋষভ পন্থ। শারীরিক কারণে তাঁকে দেশে পাঠানো হয়েছে। মহম্মদ শামির হাতে চোট থাকায় তাঁকে বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়া হয়নি। এ দিনের ম্যাচে খেলানো যায়নি অক্ষর পটেলকেও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.